কোভিড পরীক্ষা।
ভারতে কোভিড রুখতে জরুরি ওষুধপত্র এবং হাসপাতালে চিকিৎসার মতো জরুরি স্বাস্থ্য পরিষেবার খরচে লাগাম টানা-সহ একাধিক ক্ষেত্রে জরুরি পদক্ষেপ জরুরি। ভবিষ্যতে দেশে অতিমারির পরবর্তী ঢেউ আছড়ে আগেই তার মোকাবিলায় আট পরামর্শ দিলেন বিশ্বের প্রথম সারির ২১ জন চিকিৎসক, গবেষক ও কোভিড বিশেষজ্ঞ। তাঁদের পরামর্শ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে বিজ্ঞান পত্রিকা ‘ল্যানসেট’-এ।
বিশেষজ্ঞদের আট পরামর্শ
১। জরুরি স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠানের বিকেন্দ্রীকরণ আবশ্যক। যেহেতু জেলায় জেলায় কোভিড পরিসংখ্যান এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বিস্তর ফারাক রয়েছে, তাই সমস্ত পরিস্থিতির জন্য এক রকম স্বাস্থ্যব্যবস্থা চলতে পারে না।
২। সমস্ত জরুরি স্বাস্থ্য পরিষেবার খরচে লাগাম টানা দরকার এবং দেশ জুড়ে খরচের একটি জাতীয় নীতি থাকা প্রয়োজন। স্বাস্থ্যবিমায় জোর দেওয়া জরুরি।
৩। কোভিড মোকাবিলায় কী কী পদক্ষেপ করা উচিত, তা প্রমাণ-সহ প্রকাশ্যে আনতে হবে এবং ছড়িয়ে দিতে হবে।
৪। স্বাস্থ্য পরিষেবার সমস্ত ক্ষেত্রে যত মনুষ্য সম্পদ রয়েছে, তা কাজে লাগানো জরুরি।
৫। কাদের আগে টিকা দেওয়া হবে, সেই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারকেই নিতে দেওয়া হোক। এতে টিকা সরবরাহে ঘাটতিও কম হবে। টিকা জনসাধারাণের কাছে এখন জরুরি পণ্য, তাই তা বাজার ব্যবস্থার আওতায় ছেড়ে দেওয়া যায় না।
৬। একেবারে তৃণমূল স্তরে যে সব স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কাজ করে, তাদেরও এই লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হোক।
৭। সরকারি কোভিড সংক্রান্ত তথ্যে স্বচ্ছতা বজায় রাখা জরুরি। তাতে আগে থেকেই আভাস পাওয়া যাবে, আগামী দিনে সংক্রমণ কত এবং কী ভাবে ছড়াতে পারে।
৮। অতিমারি আবহে অসংগঠিত ক্ষেত্রের বহু শ্রমিক রুজিরুটি হারিয়েছেন। তাঁদের স্বাস্থ্যের বিষয়টি মাথায় রেখে সরকারের তরফে আর্থিক সাহায্য দেওয়া উচিত। অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ালে সংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীরাও যাতে কাজ ফিরে পান, সেই বিষয়টিতেও সরকারের নজর দেওয়া জরুরি।