পূজা খেড়কর। —ফাইল চিত্র।
বিপদ বাড়ল শিক্ষানবিশ আমলা পূজা খেড়করের। এ বার ইউপিএসসি তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল। একই সঙ্গে তাঁর প্রার্থিপদ বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করল ইউপিএসসি। ‘জাল পরিচয়পত্র’ ব্যবহার করার অভিযোগেই পূজার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল ইউপিএসসি।
ইউপিএসসি একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়েছে, তদন্ত থেকে জানা গিয়েছে পূজা জালিয়াতি করে পরীক্ষার নিয়ম ভাঙার চেষ্টা করেছেন। ইউপিএসসি তাই পুলিশের কাছে এফআইআর দায়ের করেছে। একই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ শুরু করেছে। সিভিল সার্ভিসেস তাঁর প্রার্থিপদ বাতিলের জন্য নোটিস জারি করেছে।
ক্ষমতার অপব্যবহার, ভুয়ো শংসাপত্র ব্যবহার করে সংরক্ষণের সুযোগ নেওয়া-সহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ উঠেছিল পূজার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ইউপিএসসি পরীক্ষায় তিনি দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা সংক্রান্ত সংরক্ষণের সুযোগ নিয়েছিলেন। সেই সব অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা দেশে। শুধু পূজা একা নন, তাঁর মা-বাবাও পুলিশের আতশকাচের নীচে রয়েছেন। বৃহস্পতিবার পূজার মা মনোরমা খেড়করকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুরনো এক ভিডিয়োর সূত্র ধরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর।
বৃহস্পতিবারই পুণে পুলিশ পূজাকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। উল্লেখ্য, পুণের জেলাশাসক সুহাস দিওয়াসের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুলেছিলেন পূজা। গত ১৫ জুলাই ওয়াসিম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন তিনি। সেই মামলাতেই পূজাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল পুলিশ।
ঘটনাচক্রে, পুণের জেলাশাসকই পূজার বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহার এবং ক্ষমতার অপপ্রয়োগের অভিযোগ আনেন। গত ২৪ জুন এক চিঠিতে জেলাশাসক জানিয়েছেন, এক জন শিক্ষানবিশ আমলা হয়ে যা যা সুবিধা পাওয়ার কথা নয়, সেই সব সুবিধা আদায় করার চেষ্টা করেছেন পূজা। এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে, ইউপিএসসিতে সংরক্ষণের সুযোগ নেওয়ার জন্য তিনি দু’টি শংসাপত্র দাখিল করেছিলেন। ২০১৮ সাল এবং ২০২১ সালের জারি করা শংসাপত্রগুলি নিয়েই বিতর্কের সূত্রপাত। তার পর আরও একটি শংসাপত্র প্রকাশ্যে আসে। ২০২২ সালে পুণের একটি হাসপাতালে ‘বিশেষ ভাবে সক্ষম’ সংক্রান্ত শংসাপত্রের জন্য আবেদন করেছিলেন পূজা। আর আবেদনপত্রে তিনি যে ঠিকানা ব্যবহার করেছিলেন তা সম্পূর্ণ ভুয়ো!