প্রতীকী চিত্র।
এক কিশোরীকে গণধর্ষণ করে গায়ে সিগারেটের ছ্যাঁকা দেওয়ার অভিযোগে রবিবার দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর জেলার গোরা এলাকাতে। শনিবার ওই কিশোরীর দেহ অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার হয়। বর্তমানে সে জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মেয়েটির মা-বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে ওই দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা কিশোরীর বাবা-মা ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করেন। পুলিশে দায়ের করা অভিযোগে নির্যাতিতার মা জানিয়েছেন, শুক্রবার সন্ধ্যা ৮টা থেকেই নিঁখোজ ছিল সে। সেই সময় জল আনতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল সে। তখনই তাকে দুই অভিযুক্ত জোর করে তুলে নিয়ে যায়। গ্রামের একটি পুকুরের পাশে কুঁড়ে ঘরে নিয়ে গিয়ে তাকে সারা রাত গণধর্ষণ করা হয়। তার গায়ে সিগারেটের ছ্যাঁকাও দেয় অভিযুক্তরা। অত্যাচারের জেরে অচৈতন্য হয়ে পড়লে কিশোরীকে ফেলে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। শনিবার ভোর ৫টার সময় নাবালিকা কিশোরীকে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তার বাবা-মা।
ঘটনা নিয়ে এক সিনিয়র পুলিশ অফিসার বলেছেন, ‘‘নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অর্জুন নামে এক অভিযুক্তের কথা জানিয়েছিল ওই নির্যাতিতা। তাকে সাহায্যকারী ছোটুকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অপহরণ, গণধর্ষণ ও পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।’’
শনিবার, ধর্ষণ করে খুনের অপর একটি নৃশংস ঘটেছিল উত্তরপ্রদেশে। ১৩ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে গলায় ফাঁস দেওয়া হয়। তার জিভও কেটে দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: এক সপ্তাহ পরেও স্থিতিশীল প্রণববাবু, রয়েছেন ভেন্টিলেশনে
আরও পড়ুন: দেশে মৃত্যু ৫০ হাজার ছাড়ালেও স্বস্তি দিচ্ছে সুস্থ হওয়ার হার