উত্তরপ্রদেশে যৌন নিগ্রহের শিকার ছাত্রী। —প্রতীকী চিত্র।
স্কুলের বাস চালকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেছিল কিশোরী। তার কথায় কর্তৃপক্ষ পাত্তা দেননি বলে অভিযোগ। উল্টে বাস চালকের নালিশ শুনে শাস্তি দেওয়া হয় ছাত্রীকেই। স্কুলের প্রধান শিক্ষক ওই ছাত্রীকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। কয়েক ঘণ্টা রোদে তাকে ঠায় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। স্কুলের এই ‘নির্যাতন’ সহ্য করতে না পেরে কিশোরী স্কুলের ছাদ থেকে ঝাঁপ দেয়। গুরুতর জখম অবস্থায় এখন সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং বাস চালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে ছাত্রীর পরিবার।
ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের ফতেপুরের। ওই ছাত্রী দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ত বলে জানা গিয়েছে। অভিযোগ, কিছু দিন আগে স্কুলের বাস চালকের সঙ্গে ছাত্রীর কথা কাটাকাটি হয়। সেই সময় চালক ছাত্রীর যৌন হেনস্থা করেন। ছাত্রীর বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষকের কাছে নালিশও করেন অভিযুক্ত। এর পর প্রধান শিক্ষক ছাত্রীকে ডেকে বকাঝকা করেছিলেন। পরে আবার তাকে শাস্তি দেওয়া হয় রোদে দাঁড় করিয়ে রেখে। এর পরেই স্কুলের ছাদ থেকে নীচে লাফিয়ে পড়ে কিশোরী। তার পরিবারের দাবি, স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং বাস চালকের আচরণের কারণেই সে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে।
অভিযোগপত্রে ছাত্রীর বাবা জানিয়েছেন, কিছু দিন আগে ক্লাস থেকে বেরিয়ে দোকানে গিয়েছিল কিশোরী। যা স্কুলের নিয়মবিরুদ্ধ। সেই সময় তাকে দেখে ফেলেছিলেন বাস চালক। তিনি প্রধান শিক্ষকের ঘরে ছাত্রীকে নিয়ে যান এবং নালিশ করেন। এর পর চালকের সামনেই ছাত্রীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ওই সময়েই চালক তাকে যৌন হেনস্থাও করেন, অভিযোগ পরিবারের।
এই ঘটনার ১৫ দিন পরে ছাত্রী অভিযুক্ত বাস চালকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। আবার তিনি প্রধান শিক্ষকের ঘরে গিয়ে তার নামে নালিশ করেন। এ বার ছাত্রীকে রোদে দাঁড়িয়ে থাকার নিদান দেওয়া হয়। অপমানে স্কুলের ছাদে উঠে সেখান থেকে নীচে লাফ দেয় কিশোরী। তার বাবা জানিয়েছেন, তিনি নিজে স্কুলে গিয়ে অনুরোধ করেছিলেন, তাঁর কন্যাকে যেন আর শাস্তি না দেওয়া হয়। কিন্তু প্রধান শিক্ষক সে কথা শোনেননি বলে অভিযোগ।
ফতেপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিজয়শঙ্কর মিশ্র বলেন, ‘‘স্কুল কর্তৃপক্ষই ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যান। বুধবার সে ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়েছিল। আমরা বাস চালক এবং প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছি। তদন্ত চলছে।’’