(বাঁ দিকে) মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
ভারতে আসছেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু। এই প্রথম ভারতে দ্বিপাক্ষিক সফরে আসছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন তিনি। অন্য নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গেও বৈঠক করতে পারেন। অক্টোবর মাসে মুইজ্জুর ভারত সফর স্থির হয়েছে। তিনি ৭ থেকে ৯ অক্টোবর ভারতে থাকবেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বৈঠক হওয়ার কথা ৮ অক্টোবর।
ভারতে মুইজ্জুর এটি দ্বিতীয় সফর। ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে মলদ্বীপে ক্ষমতায় এসেছিলেন মুইজ্জু। তিনি চিনপন্থী হিসাবে পরিচিত। মলদ্বীপে নির্বাচনের আগে ভারতের বিরুদ্ধে ঢালাও প্রচারও করেছিলেন তিনি। ক্ষমতায় আসার পর চিন সফরেও গিয়েছিলেন। কিন্তু ভারতে আসেননি। মুইজ্জু প্রথম বার ভারতে আসেন গত জুন মাসে। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মোদীর তৃতীয় বারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল তাঁকে। সে বার দিল্লিতে এসেছিলেন মুইজ্জু। কিন্তু কারও সঙ্গে বৈঠক করেননি। তাঁর অক্টোবরের সফর তাই দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
মুইজ্জু ক্ষমতায় আসার পর মলদ্বীপের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী মোদীর লক্ষদ্বীপ সফরের ছবি নিয়ে মুইজ্জুর মন্ত্রীরা অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন বলে অভিযোগ। তার পর ভারতে ‘মলদ্বীপ বয়কট’-এর ডাক ওঠে। মলদ্বীপের শয়ে শয়ে টিকিট বাতিল করে দেন ভারতের পর্যটকেরা। মলদ্বীপ পর্যটননির্ভর দেশ। ভারত থেকে প্রতি বছর বহু মানুষ সেখানে ঘুরতে যান। যার উপর দেশটির অর্থনীতি নির্ভর করে। ভারতে ‘বয়কট মলদ্বীপ’ রব উঠলে তাই মলদ্বীপের অর্থনীতি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল। এর মাঝেই মলদ্বীপ থেকে ভারতকে সেনা সরিয়ে নিতেও বলেছিলেন মুইজ্জু। পর পর ঘটনাক্রমে দুই দেশের সম্পর্কে তিক্ততা দানা বাঁধছিল। তবে গত কয়েক মাস ধরে সম্পর্কের উন্নতির জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে মলদ্বীপ। এর আগে ভারত থেকে ঘুরে গিয়েছেন সে দেশের আর এক মন্ত্রীও। এ বার মুইজ্জু নিজে আসছেন দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করতে।