নিজস্ব চিত্র
জাতি বিদ্বেষের অভিযোগ উঠল উত্তরপ্রদেশের একটি স্কুলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, দৌদারপুরের ওই স্কুলের পড়ুয়াদের মধ্যে যাঁরা তফসিলি জাতি ও জনজাতিভুক্ত, তাঁদের বাসন আলাদা করে রাখা হয়। শুধু তাই নয়, পড়ুয়ারা যে বাসনে খায়, সেই বাসন তাদেরই ধুতে হয়। বাচ্চাদের সাহায্য করেন না স্কুলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীরা। তাঁরা পড়ুয়াদের বাসন ছুঁয়ে দেখতেও অস্বীকার করেন।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে আপাতত বিতর্ক শুরু হয়েছে। স্থানীয় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে অভিযোগের ভিত্তিতে পদক্ষেপ করা হয়েছে। স্কুলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী ও রাঁধুনিদের কাজ থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তলব করা হয়েছে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকেও। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকেও নিলম্বিত করা হয়েছে।
গ্রাম প্রধান মঞ্জু দেবী এই ঘটনা প্রথম জানতে পারেন। তারপরেই তিনি নিজে যান স্কুলে। দেখা করেন প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গে। বলেন, এমন ঘটনা যেন না ঘটে। অবশ্য তাঁর কথায় আমল দেননি প্রধান শিক্ষিকা। তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, এ ভাবেই স্কুল চলছে, ভবিষ্যতেও এ ভাবেই চলবে। সেই কথা কানে ওঠে জেলা প্রশাসনের। সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।