কংগ্রেসের ‘পয়া’ রায়বরেলী বা অমেঠী কেন্দ্র থেকে উত্তরপ্রদেশের ভোটযুদ্ধে নামবেন প্রিয়ঙ্কা? —ফাইল ছবি।
উত্তরপ্রদেশে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে কল্পতরু কংগ্রেস। আগামী বছরের গোড়ায় যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে নির্বাচনী লড়াইয়ে ৪০ শতাংশ আসনে মহিলা প্রার্থী দেওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করেছিল তারা। এ বার ভোটারদের কাছে সাতটি অঙ্গীকার করল তারা। ক্ষমতায় এলে ছাত্রীদের স্মার্টফোন-স্কুটি থেকে শুরু করে কৃষিঋণ পুরোপুরি মকুব, বিদ্যুতের দাম অর্ধেক করা বা লাখ লাখ বেকারের কর্মসংস্থান-সহ দেদার প্রতিশ্রুতি কংগ্রেসের। উত্তরপ্রদেশের দলের দায়িত্বে থাকা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢ়রার ছবি দিয়ে এই সাতটি অঙ্গীকার-সহ শনিবার একটি টুইটও করেছেন দলীয় নেতৃত্ব।
কী সেই সাত অঙ্গীকার? টুইটারে উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেসের প্রতিজ্ঞা, ৪০ শতাংশ আসনে মহিলাদের অংশীদারিত্ব ছাড়াও ক্ষমতায় এলে ছাত্রীদের স্মার্টফোন-স্কুটি, কৃষকদের পুরোপুরি ঋণ মকুব, চাল-গম এবং আখের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য প্রতি কুইন্টাল যথাক্রমে আড়াই হাজার ও ৪০০ টাকা করা। এ ছাড়া, ২০ লক্ষ বেকার যুবক-যুবতীর চাকরি বা কোভিডে আক্রান্তের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকার সহায়তার মতো প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে তারা। এমনকি, উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতা দখল করলে রাজ্যবাসীর বিদ্যুতের বিলও অর্ধেক করার অঙ্গীকার করেছে।
প্রতিশ্রুতির ঢালাও বহর দেখেই স্পষ্ট, উত্তরপ্রদেশে যোগীর কুর্সি দখলের জন্য কতটা মরিয়া কংগ্রেস। গত তিরিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই রাজ্যে ক্ষমতায় নেই তারা। তবে কি এ বার দলের ভাগ্য ফেরাতে কংগ্রেসের ‘পয়া’ রায়বরেলী বা অমেঠী কেন্দ্র থেকে ভোটযুদ্ধে নামবেন প্রিয়ঙ্কা? এ নিয়েও জোর জল্পনা যোগী-রাজ্যে। যদিও তার স্পষ্ট উত্তর দেননি স্বয়ং প্রিয়ঙ্কা। তবে ধোঁয়াশা বজায় রেখেই সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের কাছে তিনি বলেছেন, ‘‘এক দিন না এক দিন তো (ভোটে) লড়তেই হবে, তাই না!’’ যদিও একই সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘‘এ নিয়ে (ভোটে লড়ার) বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।’’