অভিযুক্ত মনোজ কুমার। ছবি: সংগৃহীত।
লেজে ইট বেঁধে নালার জলে ডুবিয়ে ইঁদুরকে ‘খুনের’ অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ৩০ পাতার চার্জশিট বানাল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
ইঁদুরকে খুনের বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেন প্রাণী অধিকার রক্ষা কর্মী বিকেন্দ্র শর্মা। বদায়ুঁর বাসিন্দা মনোজ কুমারের বিরুদ্ধে ইঁদুর হত্যার অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলারই চার্জশিট তৈরি করেছে পুলিশ। বদায়ুঁ শহর পুলিশের সার্কল অফিসার (সিও) অলোক মিশ্র জানিয়েছেন, অভিযুক্ত মনোজের বিরুদ্ধে চার্জশিট তৈরি করা হয়েছে তাতে একাধিক ধারা জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
সিও আরও জানিয়েছেন, বরেলিতে ইন্ডিয়ান ভেটেরিনারি রিসার্চ ইনস্টিটিউটে ইঁদুরের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছিল। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ফুসফুস ফুলে যাওয়া এবং যকৃতে সংক্রমণের কারণে ইঁদুরটির মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়াও মাইক্রোস্কোপিক পরীক্ষায় জানা গিয়েছে, প্রাণীটির মৃত্যু হয়েছে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে। অভিযুক্ত মনোজকে গ্রেফতার করা হলেও পরে তাঁকে জামিন দেয় স্থানীয় আদালত।
বদায়ুঁর বিভাগীয় বনাধিকারিক অশোক কুমার জানিয়েছেন, ইঁদুর হত্যা বন দফতর আইনের মধ্যে পড়ে না। যে হেতু প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতা প্রতিরোধ আইনে মামলা রুজু হয়েছে, তাই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়েছে। আইন বিশেষজ্ঞরা এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন যে, প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতা প্রতিরোধ আইনে মামলা হলে ১০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা এবং তিন বছরের জেল হতে পারে অভিযুক্তের।
মনোজের বাবা মথুরা প্রসাদ বলেন, “কাক বা ইঁদুর মারা কোনও অন্যায় কাজ নয়। এগুলি ক্ষতিকারক প্রাণী। ইঁদুর মারার জন্য যদি আমার ছেলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়, তা হলে যাঁরা মুরগি, ছাগল, মাছ মারছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। যাঁরা ইঁদুর মারার বিষ বিক্রি করেন, তাঁদেরও গ্রেফতার করা উচিত।”