— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
রোগ সারাতে শূকর বলি দিয়েছিলেন। বলি দিয়েছিলেন নিজের স্ত্রীকেও! এ বার পাঁচ বছর আগের সেই ঘটনায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা পেলেন উত্তরপ্রদেশের যুবক।
সোমবার উত্তরপ্রদেশের এক নিম্ন আদালত ওই যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত যুবকের নাম কমলেশ। অভিযোগ, ২০২০ সালে নিজের স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করেছিলেন তিনি। ২০২০ সালের ১১ ডিসেম্বর স্ত্রীর বাবা স্থানীয় থানায় মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি দাবি করেন, তাঁর জামাই-ই দুরারোগ্য রোগ থেকে সেরে উঠতে মেয়েকে ‘বলি’ দিয়েছেন। অভিযোগ, এর আগে বার কয়েক শূকর বলিও দিয়েছিলেন যুবক। শেষমেশ কুসংস্কারের বশে নিজের স্ত্রীকেও বলি দেওয়ার পরিকল্পনা করেন কমলেশ।
তদন্তে জানা যায়, কমলেশ দীর্ঘ দিন ধরেই গোদজাতীয় রোগ ফাইলেরিয়াসিসে ভুগছিলেন। সাধারণত ক্রান্তীয় অঞ্চলে পরজীবী গোলকৃমি থেকে এই রোগ ছড়ায়। নানা চিকিৎসা করেও কোনও লাভ না হওয়ায় শূকর বলি দেওয়া শুরু করেন কমলেশ। তাতেও অসুখ সারেনি। শেষমেশ এক দিন স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করে তাঁর দেহটিও উৎসর্গ করেন কমলেশ।
স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় ওই যুবককে আগেই দোষী সাব্যস্ত করেছিল আদালত। সোমবার তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও ২৫ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক অচ্ছে লাল সরোজ।