—প্রতীকী চিত্র।
পাঁচ মেয়ের পরে ছেলে চেয়েছিল। তাই এ বার ছেলে হতে চলেছে কি না জানতে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর পেট কেটেছিল কাস্তে দিয়ে। সেই ঘটনায় উত্তরপ্রদেশের বদায়ূঁর বাসিন্দা পান্নালাল সিংহকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল নিম্ন আদালত। পান্নালালের স্ত্রী অনীতা প্রাণে বাঁচলেও তাঁর গর্ভস্থ সন্তানের মৃত্যু হয় ওই হামলায়।
পুলিশ জানিয়েছে, বদায়ূঁর বাসিন্দা বছর সাতচল্লিশের পান্নালাল প্রায় ২০ বছর আগে অনীতাকে বিয়ে করে। দম্পতির পাঁচ মেয়ে আছে।
২০২০ সালের অনীতা ফের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরেই পান্নালাল তাঁকে হুমকি দেয়, এ বার ছেলে না হলে সে ফের বিয়ে করবে। ২০২০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর বদায়ূঁর বাড়িতে অনীতার উপরে কাস্তে নিয়ে হামলা চালিয়ে তাঁর পেট কেটে ফেলে সে। ওই দম্পতির বড় মেয়ে নীলজলা বাবাকে থামানোর চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়। ঘটনার পরে পালায় পান্নালাল। অনীতাকে তাঁর আত্মীয়েরা হাসপাতালে নিয়ে যান। তিনি বাঁচলেও রক্ষা পায়নি গর্ভস্থ সন্তান। এর পরে অনীতার ভাই পান্নালালের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই মামলায় জামিন পায় পান্নালাল। তার পরে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে সে। সরকারি আইনজীবী মুনেন্দ্রপ্রতাপ সিংহ জানান, গত কালের রায়ের পরেই গ্রেফতার করা হয়েছে পান্নালালকে। তার বিরুদ্ধে হত্যার চেষ্টা ও মহিলার সম্মতি ছাড়াই তাঁর গর্ভপাতের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। সংবাদ সংস্থা