নাবালিকা নাতনিকে ধর্ষণ করে মুখ বন্ধ রাখার জন্য ঘুষ দেওয়ায় অভিযুক্ত দাদু। — প্রতীকী ছবি।
উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরে এ বার দাদুর লালসার শিকার হল নাবালিকা নাতনি। মাঠে কাঠ কাটার কাজ করার অছিলায় নাতনিকে ধর্ষণ করার অভিযোগ ৬০ বছরের দাদুর বিরুদ্ধে। মুখ বন্ধ রাখতে নাবালিকাকে ১০ টাকা ঘুষ দেন বলেও অভিযোগ। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। গ্রামবাসীদের হাতে ধরা পড়ে বর্তমানে পুলিশের গারদে ঠাঁই হয়েছে দাদুর।
পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগপত্রে নাবালিকার মা লিখেছেন, বুধবার সন্ধ্যায় নাবালিকা মেয়েকে নিয়ে তিনি ছাগল চরাচ্ছিলেন মাঠে। সেই সময় তাঁর শ্বশুরমশাই এসে হাজির হন এবং তাঁকে বাড়িতে অন্য কাজে পাঠিয়ে নাতনিকে কুঠার আনতে বলে কাঠ কাটতে চলে যান। নাতনি কুঠার হাতে দাদুর কাছে পৌঁছলে দাদু তাকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। ধর্ষণের পর নাবালিকা নাতনিকে মুখ বন্ধ রাখতে বলে ১০ টাকা ‘ঘুষ’ও দেন।
সেই সময় ওই এলাকা দিয়েই জল আনতে যাচ্ছিলেন গ্রামেরই এক বাসিন্দা। তিনি বিষয়টি আঁচ করে লোকজনকে খবর দেন। সকলে মিলে হাতেনাতে ধরে ফেলেন দাদুর কীর্তি! তার পর গণধোলাই দিয়ে দাদুকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। খবর দেওয়া হয় নাবালিকার মাকেও।
গোরক্ষপুরের গুলরিহা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক মনোজকুমার পাণ্ডে জানিয়েছেন, নাবালিকার পরিবার থানায় এসেছিল। নাবালিকার মা লিখিত অভিযোগ করেছেন তাঁর শ্বশুরের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে একটি মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত দাদুকে।
নাবালিকাকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে অভিযোগকারিণীকে আশ্বস্ত করেছে পুলিশ।