—প্রতীকী চিত্র।
টিউশনে যাওয়ার পর আক্রান্ত স্কুলছাত্রী। তাকে তরোয়ালের একাধিক কোপ মারা হয়েছে বলে অভিযোগ। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ছাত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাকে আক্রমণকারী যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের গাজ়িয়াবাদ জেলার মোদীনগর এলাকার। আক্রান্ত কিশোরী স্থানীয় একটি স্কুলে নবম শ্রেণির ছাত্রী। অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অফ পুলিশ জ্ঞানপ্রকাশ রাই জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতে এক স্কুলছাত্রী টিউশন পড়তে যাচ্ছিল। তাকে আগে থেকেই চিনতেন অভিযুক্ত। তিনি চাইতেন ওই ছাত্রী নির্দিষ্ট ওই স্কুলটিতে পড়া বন্ধ করে দিক। সেই কারণেই এই হামলা বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে।
ধৃতের নাম শৌখিন। বয়স ৩৫ বছর। তাঁকে এলাকার বাসিন্দারাই ধরে ফেলেন এবং পুলিশের হাতে তুলে দেন। তাঁর কাছ থেকে তরোয়ালটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ যখন স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাচ্ছিল, সেই সময় যুবক কর্তব্যরত এক পুলিশকর্মীর পিস্তল ছিনিয়ে নেন বলে অভিযোগ। শূন্যে গুলিও চালান। কিন্তু খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। অন্য পুলিশকর্মীরা সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ধরে ফেলেন। পুলিশের গুলিতে যুবকের পায়ে চোটও লেগেছে। তাঁকে আপাতত জেল হেফাজতে রাখা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, আহত কিশোরীর শরীরে ন’টি গভীর ক্ষত রয়েছে। তরোয়ালের কোপে ওই ক্ষত তৈরি হয়েছে। অনেক রক্তক্ষরণও হয়। কেন কিশোরীকে এ ভাবে আক্রমণ করা হল, নেপথ্যে অন্য কোনও আক্রোশ ছিল কি না, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে।