ফাইল ছবি।
উত্তরপ্রদেশে ‘লড়কি হুঁ, লড় সকতি হুঁ’-এর স্লোগান তুলে প্রচারে নেমে পড়েছে কংগ্রেস। সেই প্রচারের পুরোভাগে প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। প্রিয়ঙ্কার এই প্রচারে পোস্টারে পোস্টারে ছয়লাপ দেশের বৃহত্তম এই রাজ্য। প্রতিটি পোস্টারে শোভা পাচ্ছে উত্তরপ্রদেশের মহিলা কংগ্রেসের সহ সভানেত্রী প্রিয়ঙ্কা মৌর্যর হাসিমুখের ছবি। নারী শক্তির পুনর্জাগরণের আওয়াজ তুলে এ বার উত্তরপ্রদেশে বাজিমাত করতে চায় কংগ্রেস। কিন্তু সেই প্রিয়ঙ্কাই নাকি এ বার পদ্মের পথে! এই প্রিয়ঙ্কা, গাঁধী নন, মৌর্য। টিকিট না পাওয়ায় তিনি বিজেপি-তে ভিড়তে পারেন বলে লখনউয়ের অলিগলিতে জল্পনা তুঙ্গে।
তিনি কি বিজেপি-তে যোগ দিচ্ছেন, এই প্রশ্নের উত্তরে বুধবার কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে বসেই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করতে শোনা যায় উত্তরপ্রদেশের মহিলা কংগ্রেসের সহ সভানেত্রী প্রিয়ঙ্কা মৌর্যকে। তিনি বলেন, ‘‘সম্ভবত আপনাদের কথাই ঠিক। আমি দিনরাত পরিশ্রম করেছি। কিন্তু দেখলাম, কাকে টিকিট দেওয়া হবে তা আগে থেকেই ঠিক করা ছিল। আমি যোগ্য হয়েও টিকিট পেলাম না।’’ প্রিয়ঙ্কার সংযোজন, ‘‘কংগ্রেসের স্লোগান, ‘লড়কি হুঁ, লড় সকতি হুঁ’ অথচ আমাকেই লড়ার সুযোগ দেওয়া হল না!’’ তিনি জানিয়েছেন, খুব দ্রুত পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।
উত্তরপ্রদেশে ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দলবদলের খেলা। প্রথমে যোগী মন্ত্রিসভার সদস্য-সহ একাধিক বিধায়ককে ছিনিয়ে নিয়ে এগিয়ে যায় সমাজবাদী পার্টি। বুধবারই পাল্টা দেয় বিজেপি। পদ্ম পতাকা হাতে তুলে নেন মুলায়ম সিংহের ছোট ছেলের স্ত্রী অপর্ণা যাদব। এ বার কংগ্রেসের ‘পোস্টার গার্ল’-কে ছিনিয়ে নিতে পারলে বিপক্ষকে ধাক্কা দেওয়ার ব্যাপারে অনেকটাই এগিয়ে যাবে পদ্ম শিবির বলে মনে করেছেন বিজেপি-র নেতাকর্মীরা।
আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে উত্তরপ্রদেশে ভোট। চলবে ৭ মার্চ পর্যন্ত। গণনা ১০ মার্চ।