বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্বামী চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন এই তরুণী। ছবি: সংগৃহীত।
প্রভাবশালী বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ আনার পরেই নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন। খোঁজ মিলেছে ছ’দিন পর। কিন্তু তার পরেও বাড়ি ফিরতে নারাজ উত্তরপ্রদেশের সেই আইনের ছাত্রী। মা-বাবার সঙ্গে দিল্লিতে সাক্ষাৎ না হওয়া পর্যন্ত নিজের রাজ্যে ফিরবেন না বলে শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে সাফ জানিয়ে দিলেন তিনি।
গত শনিবার বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্বামী চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তোলেন ওই তরুণী। প্রাণনাশের হুমকি পাচ্ছেন বলেও দাবি করেন তিনি। তার পর থেকে আর খোঁজ মেলেনি তাঁর। এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলার শুনানি ছিল এ দিন। তার ঠিক কয়েক ঘণ্টা আগে, রাজস্থানের জয়পুরে ওই তরুণীকে খুঁজে পাওয়া গিয়েছে বলে জানায় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
খবর পেয়েই তড়িঘড়ি ওই তরুণীকে দিল্লি নিয়ে আসার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সেই মতো আদালতের সামনে হাজির করা হয় তাঁকে। সেখানেই বাড়ি ফিরতে চান না বলে সাফ জানিয়ে দেন তিনি। তাঁকে সমর্থন করে আদালতও সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ‘‘ওই তরুণীর সঙ্গে মেয়েটির সাক্ষাৎ করিয়ে দিতে হবে জুডিশিয়াল রেজিস্ট্রারকে। যত ক্ষণ পর্যন্ত তা না হচ্ছে, অন্য কাউকে ওঁর সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া যাবে না। আপাতত ওঁকে যেখানে রাখা হবে, সেখান থেকে ল্যান্ডফোনের সাহায্যে মা-বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন তিনি।’’
আরও পড়ুন: বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ আনা তরুণী রাজস্থানে! প্রমাণ দিন, বলল সুপ্রিম কোর্ট
আরও পড়ুন: মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস সভাপতি নিয়ে জট কাটল না, ‘চটে নেই জ্যোতিরাদিত্য’, বললেন কমল নাথ
ঘটনার সূত্রপাত শনিবার। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিয়ো বার্তা পোস্ট করেন উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরের বাসিন্দা ও স্থানীয় ল কলেজের ওই ছাত্রী। তাতে কলেজের ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তোলেন তিনি। ডিরেক্টর আগেও ‘বহু মেয়ের সর্বনাশ করেছেন’ বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। তবে তিনি সরাসরি কারও নাম উল্লেখ না করলেও, স্বামী চিন্ময়ানন্দকেই কাঠগড়ায় তোলেন ওই তরুণীর পরিবারের লোকজন। তাঁদের মেয়েকে অপহরণেও চিন্ময়ানন্দের হাত রয়েছে বলে দাবি করেন তাঁরা। যদিও শুরু থেকেই অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন চিন্ময়ানন্দ।