National News

বেধড়ক পিটিয়ে গারদে পুরে সাংবাদিকের মুখে প্রস্রাব রেলপুলিশ কর্তার

মঙ্গলবার রাতে ধীমানপুরায় একটি মালগাড়ির লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনার খবর করতে গিয়েছিলেন ওই সাংবাদিক। সারা রাত গারদে আটক করে রাখা হয় ওই সাংবাদিককে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শামলি (উত্তরপ্রদেশ) শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০১৯ ১২:০৫
Share:

ছবি: টুইটারের সৌজন্যে।

পুলিশের বিরুদ্ধে খবর? পুলিশের সঙ্গে তর্ক? এই বেয়াদপি কি সাংবাদিকের শোভা পায়? স্থানীয় একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সাংবাদিককে বেধড়ক পেটালেন রেল পুলিশের এক অফিসার। সাংবাদিককে চড়, থাপ্পড়, কিল, ঘুঁষি তো মারা হলই, ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হল মাটিতে। হাত থেকে কেড়ে নিয়ে আছড়ে ভাঙা হল ভিডিও ক্যামেরা। তার পর জামার কলার ধরে হিড়হিড় করে টেনে নিয়ে গিয়ে সেই সাংবাদিককে পোরা হল গারদে। পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের শামলির ঘটনা।

Advertisement

মঙ্গলবার রাতে ধীমানপুরায় একটি মালগাড়ির লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনার খবর করতে গিয়েছিলেন ওই সাংবাদিক। সারা রাত গারদে আটক করে রাখা হয় ওই সাংবাদিককে। ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যাওয়ার জেরে বুধবার তিনি ছাড়া পান। জিআরপির অভিযুক্ত স্টেশন হাউস অফিসার (এসএইচও) রাকেশ কুমার ও তাঁর সঙ্গী কনস্টেবল সঞ্জয় পওয়ারকে সাসপেন্ড করেন উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডিজি ও পি সিংহ।

পরে লিখিত অভিযোগে সেই সাংবাদিক বলেছেন, ‘‘সাদা পোশাকে ছিলেন জিআরপির পুলিশকর্মীরা। গারদে পোরার পর আমার জামাকাপড় খুলে নেওয়া হয়। আমার মুখে প্রস্রাব করেন পুলিশকর্মীরা।’’

Advertisement

ঘটনাস্থলে থাকা অন্য সাংবাদিকরা বাধা দিতে গেলে, তাঁদের সঙ্গেও তর্ক করতে দেখা যায় জিআরপির ওই অভিযুক্ত স্টেশন হাউস অফিসারকে। জিআরপির অভিযোগ, ওই সাংবাদিক তাঁদের বিরুদ্ধে খবর করেছিলেন।

আরও পড়ুন- ‘অবিলম্বে মুক্তি দিন সাংবাদিককে’, যোগীর সরকারকে ভর্ত্সনার পর নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের​

আরও পড়ুন- যোগীর ‘ভাবমূর্তি’ নষ্ট করার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া সাংবাদিকের স্ত্রী সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ​

সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়া কয়েকটি ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, গারদের ভিতর থেকে জিআরপির অফিসার রাকেশ কুমারকে লক্ষ্য করে অভিযোগ করছেন ওই সাংবাদিক। আর সামনে একটি চেয়ারে বসে রাকেশ গারদে আটক সাংবাদিকের সব অভিযোগ উড়িয়ে দিচ্ছেন।

মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে টুইট করার দায়ে সাংবাদিক প্রশান্ত কানোজিয়াকে গ্রেফতারের জন্য এক দিন আগেই উত্তরপ্রদেশ সরকারকে ভর্ৎসনা করে সুপ্রিম কোর্ট। ওই সাংবাদিককে অবিলম্বে মুক্তির নির্দেশ দেওয়া হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement