যোগী আদিত্যনাথ।
বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী তৈরি করছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। কারও বাড়ি বা অফিসে তল্লাশি করতে, এমনকি সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করতেও পরোয়ানা লাগবে না তাদের। এ বিষয়ে নতুন পুলিশ আইন আনছে উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকার। আট ব্যাটেলিয়ন নতুন এই সশস্ত্র বাহিনী তৈরি করতে খরচ হচ্ছে ১৭৪৭.০৬ কোটি টাকা। কেন্দ্রের সিআইএসএফ-এর আদলে তৈরি নয়া বাহিনীর নাম হচ্ছে ইউপিএসএসএফ (উত্তরপ্রদেশ স্পেশাল সিকিয়রিটি ফোর্স।) কিন্তু একের পর এক সাজানো সংঘর্ষের অভিযোগ ওঠা যোগী সরকারের পুলিশ যে নতুন বাহিনীর বিশেষ অধিকারের অপপ্রয়োগ করতে পারে, সেই আশঙ্কাও উঠেছে। ওয়ারেন্ট ছাড়া গ্রেফতার ও তল্লাশি মানবাধিকারের পরিপন্থী বলেও মনে করছেন অনেকে।
জুলাইয়ের শেষেই উত্তরপ্রদেশ মন্ত্রিসভা এই নতুন বাহিনী গড়ার কাজে অনুমোদন দিয়েছিল। রবিবার রাতে রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব (স্বরাষ্ট্র) অবনীশ অবস্থী একের পর এক টুইটে নতুন বাহিনী সম্পর্কে নতুন নতুন তথ্য প্রকাশ করেন। নয়া নিরাপত্তা বাহিনী যে খোদ মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথের স্বপ্নের কর্মসূচি— সে কথাও জানিয়েছেন অবস্থী। রাজ্যের সরকারি দফতর, আদালত, কোনও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভবন, শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাঙ্কগুলির নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকবে এই বাহিনীর হাতে। শীর্ষ আমলা অবস্থী ১৯৬৮-র সিআইএসএফ আইন উল্লেখ করে দেখিয়েছেন, ১১ ও ১২ ধারায় সন্দেহভাজনকে ওয়ারেন্ট ছাড়া গ্রেফতারের অধিকার দেওয়া হয়েছে এই বাহিনীর জওয়ানদের। এই দুই ধারাকে নজির হিসেবে রেখেই পুলিশ বিধিতে প্রয়োজনীয় সংশোধন কপরে ইউপিএসএসএফ-কে গ্রেফতারের জন্য আদালত থেকে ওয়ারেন্ট সংগ্রহের ভার থেকে মুক্তি দিতে চায় রাজ্য সরকার।
তবে নতুন এই বাহিনী গড়ার জন্য আদালতের একটি নির্দেশকেই ঢাল করছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। আদালতে একের পর এক হামলা ও খুনের ঘটনা ঘটে চলায় এলাহাবাদ হাইকোর্ট সম্প্রতি আদালতের সুরক্ষার জন্য বিশেষ বাহিনী গড়ার কথা ভাবতে বলে রাজ্য সরকারকে।
অবস্থীর দাবি, সেই পরামর্শের আলোকেই এই বাহিনী। আপাতত সশস্ত্র পুলিশ থেকেই ১০ হাজার অফিসার ও সাধারণ পুলিশকে বাছাই করে নতুন বাহিনী তৈরি হচ্ছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে নতুন বাহিনীর রূপরেখা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশের ডিজি-কে। ১৫ দিনের মধ্যে এ সংক্রান্ত আইনি ব্যবস্থা পাকা করা হবে। তিন মাসের মধ্যে কাজে নেমে যাবে নতুন বাহিনী।