বৃত্তির জন্য দেওয়া হচ্ছে ৪৫০ টাকার চেক। ছবি: পিটিআই।
সংস্কৃত ভাষা নিয়ে অনেক কথা হল। পড়ুয়াদের হাতে বৃত্তিও তুলে দেওয়া হল। রবিবার স্বয়ং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের এই কর্মসূচি ঘিরে আয়োজন ও প্রচারের খামতি ছিল না। ক্রিকেটের পুরস্কার বিতরণীর মতো ছাত্রছাত্রীদের হাতে চেকের বড় বড় প্রতীকী কাটআউট তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সেই চেকে লেখা বৃত্তির অঙ্ক দেখে হাসাহাসি শুরু হয়েছে নেটদুনিয়ায়। অধিকাংশ চেকই ৩০০ টাকার। কয়েক জনকে দেওয়া হয়েছে ৯০০ টাকার চেকও। নেটিজেনদের বক্তব্য, কাজের থেকে ঢাকঢোল বাজল বেশি। ৩০০ টাকার চেকের ফ্লেক্সের কাটআউট তৈরিতে কত খরচ হতে পারে, অঙ্ক কষেছেন অনেকে। সেই অর্থ ছবি তোলার জন্য নাগরিকদের করের অর্থ থেকে খরচ না-করে প্রাপকের হাতে কেন তুলে দেওয়া হল না, সে প্রশ্নও করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে যোগী বলেন, সংস্কৃত দেবভাষা। ভারতের প্রাচীনতম ভাষা। কিন্তু দেশের অধিকাংশ মানুষই এই ভাষা জানেন না। সংস্কৃত পঠনপাঠনে উদ্বুদ্ধ করার জন্যই তাঁরা এই বৃত্তি দিচ্ছেন। তিনি জানান, প্রাচীন গুরুকুল প্রথায় শিক্ষাদানের একটি প্রকল্প তাঁর সরকার শুরু করতে চলেছে। সংস্কৃতের সঙ্গে আধুনিক বিষয়গুলিও সেখানে পড়ানো হবে। এর পরে বৃত্তিপ্রাপকদের হাতে চেকের কাটআউট তুলে দেন। প্রকৃত চেকগুলি অনুষ্ঠানের পরে বিলি করা হয়। যোগীর অনুষ্ঠানের ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়াতেই হাসাহাসি শুরু হয়। এক নেটিজ়েন বলেন, ‘প্রায় সবাইকে ৩০০ টাকার চেক দেওয়া হল। তার কাটআউট বানানোর খরচই তো ৩০০ টাকার বেশি!’ কেউ লিখেছেন, ‘প্রাচীন ভাষা সংস্কৃত, তাই বৃত্তির পরিমাণও প্রাচীন। চেক ছাপার খরচটা পড়ুয়াদের তো দেওয়া যেত!’ প্রদেশ কংগ্রেস মুখপাত্র শমা মহম্মদ লিখেছেন, ‘শুধু বিজেপিই এই কাজ করতে পারে। ৩০০ টাকার বৃত্তি, ছবি তোলার জন্য চেক ছাপাতেই তার চেয়ে বেশি খরচ হয়েছে!’