সনাতন ধর্মই ভারতের রাষ্ট্রীয় ধর্ম, বলছেন আদিত্যনাথ। ছবি— পিটিআই।
সনাতন ধর্মকেই ভারতের রাষ্ট্রীয় ধর্ম বলে ঘোষণা করে দিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ। প্রত্যেক নাগরিককে তাকে সম্মান জানাতে হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি আদিত্যনাথ জানান, সনাতনীদের ধর্মীয় কোনও স্থান যদি ধ্বংস হয়ে গিয়ে থাকে বা তাকে অপবিত্র করা হয়, তাহলে সেই সব ধর্মীয় স্থানকে পুরনো অবস্থায় ফেরানোর জন্যও প্রচার শুরু করতে হবে। ঠিক যেমনটা হয়েছে অযোধ্যায় রামমন্দিরের ক্ষেত্রে।
এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই সনাতন ধর্মকে ভারতের জাতীয় ধর্ম বলে দাবি করেন আদিত্যনাথ। তিনি বলেন, ‘‘সনাতন ধর্মই ভারতের ‘রাষ্ট্রীয় ধর্ম’। যখন আমরা স্বার্থপরতার ঊর্ধ্বে উঠতে পারি, কেবল তখনই আমরা রাষ্ট্রীয় ধর্মের সঙ্গে সংযুক্ত হতে পারি। আমরা যখন জাতীয় ধর্মের সঙ্গে একাত্মবোধ করি তখন আমাদের দেশও সুরক্ষিত থাকে।’’
রাজস্থানের ভিনমলে নীলকণ্ঠ মহাদেব মন্দিরের পুনর্নির্মাণ এবং মূর্তি প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসাবে হাজির হয়েছিলেন আদিত্যনাথ। সেখানেই তিনি আরও বলেন, ‘‘অতীতে কখনও যদি আমাদের ধর্মীয় স্থানকে ধ্বংস করা হয়ে থাকে বা তাকে অপবিত্র করা হয়ে থাকে, তাহলে সেই স্থানগুলিকে পুরনো মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য প্রচার অভিযান চালানো জরুরি। ঠিক যেমন অযোধ্যার রামমন্দিরের ক্ষেত্রে হয়েছে। ৫০০ বছর ধরে লড়াই চালানোর পর সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দক্ষতায় সুউচ্চ, সুরম্য রামমন্দির তৈরি হচ্ছে। আপনারা সবাই তাতে সাধ্যমতো দান করেছেন।’’
অনু্ষ্ঠানে আদিত্যনাথের পাশাপাশি হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াতও।
আদিত্যনাথের এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। কংগ্রেসের অসংগঠিত ক্ষেত্রের সংগঠনের চেয়ারম্যান উদিত রাজ টুইট করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘‘সনাতন ধর্মই ভারতের রাষ্ট্রীয় ধর্ম, বলছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী। এর অর্থ হল, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, নিরঙ্কার, খ্রিস্টান এবং ইসলাম ধর্ম খতম!’’