উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে রাহুল গান্ধী ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা। শুক্রবার নয়াদিল্লিতে। পিটিআই
নিজেই নিজেকে উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রীর ‘মুখ’ হিসেবে এগিয়ে দিয়েছিলেন। তার পর নিজেই পিছিয়ে গেলেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা।
উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে, কেন তিনি মুখ্যমন্ত্রীর ‘মুখ’ হিসাবে মাঠে নামছেন না, তা নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা বলেছিলেন, ‘‘আপনারা কি আর কোনও ব্যক্তিকে দেখতে পাচ্ছেন? সর্বত্র তো আমারই মুখ দেখা যাচ্ছে!’’ আজ দুপুরে কংগ্রেসের সদর দফতরে সাংবাদিক বৈঠকে প্রিয়ঙ্কার মুখে এই উত্তর শুনেই পাশে বসা রাহুল গান্ধী তাঁর দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকান। উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনে তরুণ প্রজন্মের জন্য চাকরির প্রতিশ্রুতি নিয়ে বিশেষ ইস্তাহার প্রকাশ করতে দু’জনে সাংবাদিক বৈঠকে হাজির হয়েছিলেন। সেখানে প্রিয়ঙ্কা কার্যত নিজেকে মুখ্যমন্ত্রীর ‘মুখ’ হিসেবে তুলে ধরায় প্রশ্ন ওঠে, যে নির্বাচনে কংগ্রেসের জয়ের কোনও সম্ভাবনাই নেই, বরং তৃতীয় বা চতুর্থ স্থানের জন্য লড়াই, সেখানে প্রিয়ঙ্কা কেন নিজেকে মুখ্যমন্ত্রীর ‘মুখ’ হিসাবে তুলে ধরছেন!
সন্ধ্যায় প্রিয়ঙ্কা নিজেই এক ব্যাখ্যা দেন, তিনি হাল্কা চালে ওই উত্তর দিয়েছিলেন। জানান, তাঁকেই মুখ্যমন্ত্রীর পদপ্রার্থী হিসেবে ধরে নেওয়াটা ভুল হবে। তবে উত্তরপ্রদেশে ভোটে লড়ার সম্ভাবনা আজও খারিজ করেননি প্রিয়ঙ্কা। জানিয়েছেন, এখনও সিদ্ধান্ত নেননি। তরুণদের জন্য ২০ লক্ষ সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ইস্তাহার ঘোষণা করলেও প্রিয়ঙ্কা আজ ফের জানিয়েছেন, ভোটের পরে পরিস্থিতি তৈরি হলে অন্য দলকে সমর্থনের সম্ভাবনা বিবেচনা করা হবে। তবে কোনও জোট সরকারে যোগ দিলে বা তাকে সমর্থন করলে কংগ্রেস শর্ত রাখবে। তাদের শর্ত হবে, কংগ্রেস মহিলা-যুবদের জন্য যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তা ওই সরকারকে পূরণ করতে হবে।
পিকে-র কংগ্রেসে যোগদান প্রসঙ্গে: ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের গত বছর কংগ্রেসে যোগদানের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। শুক্রবার এ প্রসঙ্গে প্রিয়ঙ্কা বলেন, ‘‘গত বছর সত্যিই সেই সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। আমার মনে হয়, বেশ কিছু কারণে তা বাস্তবায়িত হয়নি। তার জন্য কিছু উনি এবং কিছুটা আমরাও দায়ী।’’