হনসুরাম অম্বেডকরী। ছবি: সংগৃহীত।
১৯৮৫ সালে জেলা প্রশাসনের আমিন পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি, কারণ তৎকালীন শাসক দল বিধানসভা নির্বাচনে ফতেপুর সিক্রির আসন থেকে তাঁকে দাঁড় করানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় আসলে দেখা যায়, সেই প্রতিশ্রুতি তো শাসক দল মানেইনি, উল্টে তাঁকে নিয়ে হাসাহাসি করা হয়। বলা হয়, তিনি একটাও ভোট পাবেন না। সেই শুরু। তার পর থেকে মোট ৯৩ বার নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আগরার হনসুরাম অম্বেডকরী। এই শুক্রবার নিজের জীবনের ৯৪তম মনোনয়নপত্র জমা দিলেন ৭৫ বছর বয়সি এই বৃদ্ধ। আগরা গ্রামীণ ও খেড়াগড় নির্বাচনী কেন্দ্র থেকে এই বার দাঁড়াচ্ছেন তিনি।
পেশায় কৃষক হনসুরাম সংবাদমাধ্যমকে সগর্বে জানিয়েছেন, ১৯৮৫ সালের সেই ঘটনার পরেই তিনি সিদ্ধান্ত নেন, প্রতিবার গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে বিধানসভা পর্যন্ত সমস্ত নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হিসাবে দাঁড়ানোর। ১৯৮৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি তৃতীয় হয়েছিলেন। তার পর থেকে আর ফিরে তাকাননি। তাঁর বর্তমান লক্ষ্য, জীবনের ১০০তম নির্বাচন লড়ার। হার-জিত নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামাচ্ছেন না হনসুরাম। উল্লেখ্য, এক বার দেশের রাষ্ট্রপতি পদের জন্যও নিজের নাম জমার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। তা অবশ্য শেষ পর্যন্ত সম্ভব হয়নি।
নাম নিয়ে প্রশ্ন করা হলে হনসুরাম জানান, তিনি বি আর অম্বেডকরের পদাঙ্ক অনুসরণ করে চলেন জীবনে। ১৯৭৭ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত একনিষ্ঠ ভাবে ‘ব্যাকওয়ার্ড অ্যান্ড মাইনরিটি কমিউনিটিজ় এমপ্লয়িজ় ফেডারেশন’-এর কর্মী ছিলেন। এখনও ভোট-প্রার্থনা করতে পায়ে হেঁটে মানুষের বাড়ি বাড়ি যান বলেই জানালেন ৭৫ বছরের হার না মানা প্রার্থী হনসুরাম।