মানিকের সভায় বাধা, হামলা বিধায়কের গাড়িতে

সিপিএমের সিপাহিজলা জেলা সম্পাদক ভানুলাল সাহা জানান, বিশালগড়ে নভেম্বর বিপ্লবের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সভার আয়োজন হয়েছিল। সভায় যেতে সিপিএম সমর্থকদের কিছু যুবক বাধা দেয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আগরতলা শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০১৮ ০১:৫৮
Share:

সরকার পরিবর্তনের পর থেকেই বিরোধী সিপিএমের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে শাসক দলের বাধার অভিযোগ উঠছে নিরন্তর। এ বার ত্রিপুরায় নভেম্বর বিপ্লব উপলক্ষে দলীয় কার্যালয়ের সিপিএমের সভা ঘিরেও ধুন্ধুমার বাধল!

Advertisement

সভায় যেতে প্রথমে সিপিএম সমথর্কদের বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও বিরোধী দলনেতা মানিক সরকারের বক্তৃতার সময়ে মাইক বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা হয়। তার পরেও দীর্ঘ ক্ষণ বিশালগড়ে জেলা কমিটির দফতরেই আটকে ছিলেন মানিকবাবু। সভার পরে কমলাসাগর কেন্দ্রের সিপিএম বিধায়ক নারায়ণ চৌধুরীর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। সিপিএমের অভিযোগ বিজেপির দিকে। গোটা তাণ্ডবের সময়ে পুলিশ দর্শকের ভূমিকায় ছিল বলেও সরব হয়েছে তারা। যদিও বিশালগড়ের এসডিপিও মানিকলাল দাসের বক্তব্য, ‘‘বিধায়ক পুলিশকে না জানিয়েই ওখানে গিয়েছিলেন। কেউ ওঁর গাড়িতে ঢিল মেরেছিল। তা ছাড়া, উনি আমাকেও লাঠি দিয়ে মারতে গিয়েছিলেন!’’ বিজেপি ঘটনার সঙ্গে তাদের যোগ অস্বীকার করেছে। আর কাল, শনিবার পশ্চিম জেলার দলীয় দফতর থেকে বিক্ষোভ মিছিল করবে সিপিএম।

সিপিএমের সিপাহিজলা জেলা সম্পাদক ভানুলাল সাহা জানান, বিশালগড়ে নভেম্বর বিপ্লবের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সভার আয়োজন হয়েছিল। সভায় যেতে সিপিএম সমর্থকদের কিছু যুবক বাধা দেয়। তাদের ব্যারিকেড এড়িয়েই কিছু সমর্থক সভায় ঢুকেছিলেন। মানিকবাবুর ভাষণের সময়ে মাইক বন্ধ করতে হুমকি দেন বিজেপি সমর্থকেরা। বিধায়ক নারায়ণবাবুর অভিযোগ, সভাস্থল থেকে ফেরার সময়ে কয়েকটি মোটর সাইকেল তাঁর গাড়ির পিছু নেয়। কিছু ক্ষণ পরে গাড়ি ঘেরাও করে তাঁর দেহরক্ষী-সহ কয়েক জনকে টেনে নামিয়ে মারধর করে। নারায়ণবাবু বলেন, ‘‘আমি হাতজোড় করে তাদের বলি, আমাকে মারুন | ওঁদের কোনও দোষ নেই| লোকজন চলে আসায় কোনও মতে ছাড়া পাই |’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement