গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
অগ্নিবীর হওয়ার প্রশিক্ষণ নিতে মুম্বইয়ে এসেছিলেন ২০ বছরের তরুণী। মঙ্গলবার তাঁকে তাঁর হস্টেলের ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করল পুলিশ। গত ১৫ দিন ধরে এই হস্টেলে থেকেই ভারতীয় নৌবাহিনীর কাজের প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন ওই তরুণী। হঠাৎ কী এমন হল যে তাঁকে চরম সিদ্ধান্ত নিতে হল! কারণ খুঁজতে নেমে ধন্দে পুলিশ। কারণ হস্টেলের ঘর তন্নতন্ন করে খুঁজেও এই ঘটনার কোনও সূত্র পায়নি তারা। মেলেনি কোনও আত্মহত্যার সাফাই দেওয়া চিরকুট।
আপাতত তাই ঘটনাটিকে ‘দুর্ঘটনার কারণে মৃত্যু’ হিসাবে রিপোর্ট করেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে তাদের প্রাথমিক সন্দেহ, ঘটনাটি আত্মহত্যারই। হস্টেলের ঘরে তল্লাশি চালিয়ে বিশেষ কোনও সূত্র না পাওয়ায় তদন্তকারীদের ধারণা, ওই তরুণী হয়তো ব্যক্তিগত কারণেই আত্মহত্যা করেছেন। তবে এই সূত্রের সপক্ষে কোনও প্রমাণ আসেনি পুলিশের হাতে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ আইএনএস হামলায় প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন এই মহিলা অগ্নিবীর। মুম্বইয়ের মালাড পশ্চিমের মালওয়ানি এলাকায় চলছিল সেই প্রশিক্ষণ শিবির। ওই তরুণীর বাড়ি কেরলে। নৌবাহিনীতে যোগ দেওয়ার পর প্রাথমিক প্রশিক্ষণ শেষ করে সবে ১৫ দিন হল মুম্বইয়ের মালওয়ানিতে থাকছিলেন তিনি। সোমবার সকালে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় প্রথম দেখেন তাঁর সতীর্থরা।
প্রসঙ্গত গত বছরই সেনাবাহিনীতে ‘অগ্নিপথ প্রকল্প’-এর ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই প্রকল্প অনুযায়ী বাহিনীতে যোগ দেবেন যাঁরা, তাঁরাই অগ্নিবীর। তবে এই অগ্নিবীরদের সেনাবাহিনীতে নিয়োগ করা হয় কেবল চার বছরের জন্য। মেয়াদ শেষে নিয়মিত পেনশনও পান না তাঁরা। বদলে তাঁদের দেওয়া হয় এককালীন ১১.৭১ লক্ষ টাকা। এই প্রকল্পটি নিয়ে শুরু থেকেই সমালোচিত হয়েছিল কেন্দ্র। সম্প্রতি পঞ্জাবের এক অগ্নিবীরের মৃত্যু হয় তাঁর নিজেরই ছোড়া গুলিতে। এ বার মুম্বইয়েও অস্বাভাবিক মৃত্যু হল এক অগ্নিবীরের।