নাবালিকা ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত উন্নাওয়ের প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গার। ছবি: সংগৃহীত।
চাকরি চাইতে যাওয়া এক নাবালিকাকে ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত উন্নাওয়ের প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গারের স্ত্রী সঙ্গীতা এ বারও উত্তরপ্রদেশের পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপিরই প্রার্থী। উন্নাও জেলা পরিষদের বিদায়ী চেয়ারপার্সন সঙ্গীতাকে ফতেপুর চৌরাশি তৃতেয়া আসনে প্রার্থী করেছে বিজেপি। উত্তরপ্রদেশের ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে আগে কোনও দলের প্রতীকে নির্বাচন হত না। এ বার দলীয় প্রতীকেই নির্বাচন হবে। সেই মতো বৃহস্পতিবার ৫১ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিজেপি। সেই তালিকাতেই নাম রয়েছে কুলদীপ-পত্নীর। বিজেপির প্রতীকেই ভোটে লড়বেন তিনি।
নাবালিকাকে ধর্ষণ-কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ার পরেও কুলদীপকে দলের বিধায়ক হিসেবেই রেখেছিল বিজেপি। কিন্তু নাবালিকাকে ধর্ষণ-কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে তাঁর দলের প্রাথমিক সদস্যপদ খারিজ করে দেয় বিজেপি। চলে যায় তাঁর বিধায়ক পদও। পুলিশ হেফাজতে ধর্ষিতা ওই নাবালিকার বাবার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনাতেও অভিযোগের আঙুল ওঠে এই প্রবল প্রভাবশালী বিজেপি নেতার দিকেই। সেই মামলায় তিনি দোষী সাব্যস্তও হয়েছেন। আপাতত ধর্ষণের ঘটনায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত এই বিজেপি নেতা জেলে রয়েছেন।
উন্নাওয়ে নাবালিকা ধর্ষণ-কাণ্ডে গোটা দেশ তোলপাড় হলেও বিজেপি আগাগোড়াই তাদের এই প্রভাবশালী নেতাটির পাশেই ছিল। কিন্তু তদন্তে বিষয়টি সামনে আসার পরে এবং আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে তারা কুলদীপ-সঙ্গ ত্যাগ করে। কিন্তু তাঁর পরিবারের বিজেপি-যোগ রয়েই যায়। কুলদীপের বিধায়ক পদ যাওয়ার পরে উন্নাও কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীর হয়ে প্রচারেও নেমেছিলেন সঙ্গীতা। স্থানীয় সূত্রের খবর, এ বারে কুলদীপ-পত্নীর হয়ে প্রচারে নামতে পারেন যোগী প্রশাসনের একাধিক মন্ত্রী-বিধায়ক। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও তাঁর হয়ে প্রচারে নামতে পারেন। রাজ্যের বিরোধীদের অভিযোগ, নাবালিকা ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত নেতার স্ত্রীকে টিকিট দিয়ে বিজেপি প্রমাণ করেছে, তাদের কাছে মহিলাদের সম্মান কতটা। সঙ্গীতার হয়ে দলের নেতারা প্রচারে নামলে বাকিটাও রাজ্যের মানুষের কাছে স্পষ্ট হয়ে যাবে। বস্তুত বিজেপির একাংশ এখনও সঙ্গীতার হয়ে প্রচারে নামার ব্যাপারে দ্বিধাগ্রস্ত। কিন্তু ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত কুলদীপ-পত্নীর বিজেপির টিকিট পাওয়া নিয়েই প্রচারে নেমেছে কংগ্রেস এবং এসপি।