কবে শেষ হবে এই ছবি, অপেক্ষায় দর্শকরা।
শেষ হচ্ছে আনলক-২। এই পর্বে একাধিক শিথিলতার সঙ্গে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ছিল হোটেল-রেস্তোরাঁ চালুর অনুমতি দেওয়া। অগস্ট খেকে শুরু হচ্ছে আনলক-৩। এই পর্বে কি সিনেমা হলের পালা? চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলেও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও তথ্যসম্প্রচার মন্ত্রক সূত্রে খবর, এই পর্বেই দূরত্ববিধি মেনে সিনেমা হল-মাল্টিপ্লেক্স খোলার অনুমতি দেওয়া হতে পারে। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে হল-মাল্টিপ্লেক্স মালিকদের সঙ্গে এক প্রস্থ আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। অন্য দিকে, অনুমতি দেওয়া হতে পারে জিম খোলারও। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার অনুযায়ী রাজ্যগুলির হাতে আরও ক্ষমতা দেওয়া হতে পারে বলেও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে। যদিও এখনই মেট্রো পরিষেবা চালানোর পক্ষপাতী নয় কেন্দ্র।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ-শৄঙ্খল রুখতে গত ২৪ মার্চ থেকে দেশ জুড়ে লকডাউনের ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কয়েক দফায় ৩১ মে পর্যন্ত চলেছে সেই লকডাউন। যদিও মাঝে ২০ মে থেকে কিছু কিছু অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু হয়েছিল। ১ জুন থেকে শুরু হয়েছিল আনলক পর্ব। জুলাই মাস থেকে চলছে আনলক-২। আর ১ অগস্ট থেকে শুরু হচ্ছে আনলক-৩। এই পর্বে নতুন কী কী চালু হওয়া সম্ভব, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে শুরু হয়েছে কাটাছেঁড়া। প্রাথমিক নীল নকশাও মোটামুটি তৈরি হয়ে গিয়েছে বলে মন্ত্রকের একটি সূত্রে খবর।
সেই সূত্রেই জানা গিয়েছে, এই আনলক তৄতীয় পর্ব থেকেই সিনেমা হল চালুর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে অবশ্যই সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে। কেন্দ্রীয় তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রকের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, তাদের তরফে ১ অগস্ট থেকে সিনেমা হল-মাল্টিপ্লেক্সগুলি খুলে দেওয়ার জন্য সিনেমা হল মালিকদের সঙ্গে মন্ত্রকের আধিকারিকরা এক দফা আলোচনাও সেরে ফেলেছেন। তাতে হল মালিকরা চালু করার পক্ষেই মত দিয়েছেন। তবে সিনেমা হল মালিকরা প্রস্তাব দিয়েছেন, ৫০ শতাংশ আসন, অর্থাৎ একটি সিট বাদে একটি করে সিটে টিকিট বিক্রির। কিন্তু তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রক আপাতত ২৫ শতাংশ আসনের টিকিট বিক্রিতে সায় দিয়েছে। তার পর ধাপে ধাপে আসন বাড়ানোর পক্ষে মন্ত্রক। এই পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের উপরেই ছাড়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনার ভয়, ৬ ঘণ্টা পড়ে রইলেন সংজ্ঞাহীন বৃদ্ধা, ছুঁল না কেউ
তবে জিম যে এই পর্যায়েই খোলার অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে, তা প্রায় নিশ্চিত। কিন্তু মেট্রো ও লোকাল ট্রেন কবে চালু হবে, তা নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহ রয়েছে। তবে এই দুই পরিষেবা আপাতত চালু হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই কেন্দ্রের একাধিক সূত্রে খবর।
অন্য দিকে স্কুল-কলেজ খোলা যায় কি না, বা কবে থেকে চালু করা সম্ভব, তা নিয়েও শুরু হয়েছে আলোচনা। রাজ্যগুলির সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। কেন্দ্রের স্কুলশিক্ষা দফতরের সচিব অনিতা কারওয়াল রাজ্যের সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। যদিও মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল আগেই জানিয়েছিলেন, স্কুল খোলার আগে অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলা হবে। মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, অভিভাবকরা এখনই স্কুল খোলার পক্ষপাতী নন।
আরও পড়ুন: বিধানসভা ডাকতে ফের গহলৌতের চিঠি, এড়ালেন আস্থা-প্রসঙ্গ
তবে সিনেমা হল, জিমের মতো বিষয়ে কেন্দ্র যেমনই সিদ্ধান্ত নিক, তার উপর রাজ্য সরকারের ক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের পরিস্থিতি বুঝে রাজ্য সরকারগুলি সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। অর্থাৎ কেন্দ্র সিনেমা হল-মাল্টিপ্লেক্স বা জিম খোলার অনুমতি দিলেও কোনও রাজ্য সরকার মনে করলে তা চালু নাও করতে পারে। কেন্দ্রীয় নির্দেশিকায় সেই বন্দোবস্ত রাখা হবে বলেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর।