ইসলামিক স্টেট (আইএস)। প্রতীকী ছবি।
কেরল ও কর্নাটকে অনেক আইএস জঙ্গি সক্রিয় বলে এক রিপোর্টে সতর্ক করল রাষ্ট্রপুঞ্জ। সেইসঙ্গে ওই রিপোর্টে জানানো হয়েছে, আল কায়দার ভারতীয় উপমহাদেশ শাখার ১৫০-২০০ জন সদস্য রয়েছে ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও মায়ানমারে। আফগানিস্তানে তালিবান ও আইএসের সংগঠনে যোগ দিয়ে জঙ্গি কার্যকলাপ চালাচ্ছে প্রায় সাড়ে ছ’হাজার পাকিস্তানি। রাষ্ট্রপুঞ্জের আইএস ও আল কায়দার উপরে নজরদারির দায়িত্বপ্রাপ্ত দল জানিয়েছে, আল কায়দার ভারতীয় উপমহাদেশ শাখার বর্তমান নেতার নাম ওসামা মাহমুদ। উপমহাদেশে হামলা চালানোর ছক কষছে তারা।
এক সদস্য রাষ্ট্রের রিপোর্টকে উদ্ধৃত করে রাষ্ট্রপুঞ্জ জানিয়েছে, আইএসের ভারতীয় শাখা গঠনের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল ২০১৯ সালের ১০ মে। এখন ওই সংগঠনের সদস্যের সংখ্যা ১৮০ থেকে ২০০ জন। দক্ষিণ ভারতের কেরল-কর্নাটকে উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি রয়েছে তাদের। গত বছরের মে মাসে ভারতে এক ‘নয়া প্রদেশ’ গঠন করার দাবি করেছিল তারা। তার আগে কাশ্মীরে আইএস জঙ্গিদের সঙ্গে ভারতীয় বাহিনীর বেশ কয়েক বার সংঘর্ষ হয়। তবে কাশ্মীরে আইএসের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি নেই বলে দাবি করেছিল ভারত।
আফগানিস্তানে পাক জঙ্গিদের গতিবিধি নিয়ে বিশ্বকে বারবার সতর্ক করেছে কাবুল ও দিল্লি। এখন সে দেশে প্রায় সাড়ে ছ’হাজার পাক জঙ্গি সক্রিয় বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। তাদের বেশিরভাগই তেহরিক ই তালিবান পাকিস্তানের সদস্য। তবে তেহরিক ই তালিবান পাকিস্তানের বেশ কিছু সদস্য এখন আইএসে যোগ দিয়েছে বলেও রিপোর্টে জানিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। দিন পনেরো আগে রাষ্ট্রপুঞ্জে সন্ত্রাস প্রশ্নে পাকিস্তানকে ফের তোপ দাগে ভারত। দিল্লির তরফে বলা হয়, পাকিস্তানের ভেবে দেখা উচিত কেন গোটা বিশ্ব তাদের সন্ত্রাসের উৎস বলে মনে করে। গত জুনে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও স্বীকার করেন, পাকিস্তানে ৪০ হাজার জঙ্গি সক্রিয়। তার পরে রাষ্ট্রপুঞ্জের এই রিপোর্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন কূটনীতিকেরা।