Coronavirus

Unique corona vaccine: স্বাভাবিক তাপমাত্রাতেও দিব্যি থাকবে ভারতে তৈরি ‘গরম’ টিকা, চলছে শেষ পর্যায়ের গবেষণা

করোনার টিকা সংরক্ষণে এখন প্রয়োজন হয় ‘কুলিং চেন’-এর। সেই ব্যবস্থা করতে খরচের পরিমাণও বাড়ে। স্বভাবতই দাম বৃদ্ধি পায় টিকার।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২২ ১৩:৫৫
Share:

ফাইল ছবি।

করোনার টিকার মূল্য স্থির করার ক্ষেত্রে সব চেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা তার সংরক্ষণের জটিল প্রক্রিয়া। ইদানীং ভারতে যে সমস্ত টিকা দেওয়া হচ্ছে, তার প্রতিটিই সংরক্ষিত রাখতে হয় অত্যন্ত কম তাপমাত্রায়, ফলে কেন্দ্র পর্যন্ত টিকা পৌঁছতে যেমন ঠান্ডা করার যন্ত্র ব্যবহার করতে হয়, তেমনই টিকাকেন্দ্রেও টিকা ঠিক রাখতে ফ্রিজার রাখতে হয়। যা খরচসাপেক্ষ। পাশাপাশি ঘরের তাপমাত্রায় সাধারণ টিকা বেশি ক্ষণ রাখা যায় না। এ বার ‘গরম’ টিকা নিয়ে গবেষণা শেষের পথে বেঙ্গালুরুর একটি গবেষণাগারে।

বেঙ্গালুরুর ‘মাইনভ্যাক্স ল্যাবরেটরিজ’ নামে গবেষণাগারটি যে ‘গরম’ টিকার উপর গবেষণা চালাচ্ছে, তাতে দাবি করা হচ্ছে, টিকাটি ৩৭ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ৪ সপ্তাহ ঠিক থাকবে। তাপমাত্রা যদি ১০০ ডিগ্রি হয়, তা হলে মাইনভ্যাক্সের টিকা ঠিক থাকবে ৯০ মিনিট। ফলে পরিবহণ খাতে খরচ কমবে। স্বভাবতই তার প্রতিফলন হওয়ার কথা টিকার দামেও।

Advertisement

ভারতের বিরাট অংশে স্বাভাবিক গড় তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে থাকে। এই তাপমাত্রায় টিকাকে ব্যবহারযোগ্য রাখাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। অভিজ্ঞতা বলছে, অন্যান্য করোনা টিকাকে ঘরের তাপমাত্রায় বেশি ক্ষণ রাখা যায় না। ফলে টিকা ঠিক রাখতে গিয়ে দামও বেড়ে যায় অনেকটাই। এ বার বেঙ্গালুরুর গবেষণাগারে টিকাটি সফল হলে, তা হবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
‘ভাইরাসেস’ নামে একটি ‘পিয়ার রিভিউড জার্নাল’-এ প্রকাশিত হয়েছে, এই টিকাটি ইঁদুরের উপর পরীক্ষায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে পেরেছে। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের পরীক্ষা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement