রাহুল গান্ধীকে তীব্র আক্রমণ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির। — ফাইল ছবি।
রাহুল গান্ধীর ইংল্যান্ডে ভাষণ নিয়ে উত্তেজনা কমার কোনও লক্ষণ নেই। বরং ক্রমশ তা বেড়েই চলেছে। এ বার রাহুলকে আক্রমণ করতে মাঠে নামলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। মন্ত্রীর অভিযোগ, রাহুলের মোদী-বিদ্বেষ ক্রমশ ভারত-বিদ্বেষে পরিণত হচ্ছে। কংগ্রেস সাংসদকে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাওয়ারও দাবি করেছেন স্মৃতি। ঘটনাচক্রে, এই স্মৃতির কাছেই লোকসভা ভোটে হেরে গিয়েছিলেন রাহুল।
সংসদে বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বের শুরু থেকেই হইহল্লা চলছে। তৃতীয় দিনের অধিবেশনেও তার ব্যতিক্রম হওয়ার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। অধিবেশন শুরুর আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতির মন্তব্যে যেন তারই ইঙ্গিত। বুধবার সকালে রাহুলের দিকে তীক্ষ্ণ আক্রমণ শানান স্মৃতি।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ‘‘ভারতের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে চূড়ান্ত অসম্মান করে রাহুল গান্ধী খেদ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, কেন বিদেশি শক্তি এসে ভারতে হস্তক্ষেপ করছে না! ওঁর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে বিদ্বেষ ক্রমশ ভারতের প্রতি বিদ্বেষে পরিণত হচ্ছে।’’ স্মৃতির আপত্তি রয়েছে রাহুলের বক্তব্যের স্থান নিয়েও। তিনি বলেন, ‘‘রাহুল গান্ধী এমন একটি দেশে গিয়ে বিদেশি শক্তির হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন, যে দেশের ইতিহাস রয়েছে ভারতকে গোলাম বানানোর।’’
বিজেপি রাহুলের ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে অনড়। বুধবার মন্ত্রীর গলাতেও শোনা গেল সেই সুর। আরও এক কদম এগিয়ে অমেঠীর বিজেপি সাংসদ বলেন, ‘‘আজ ভারতের প্রতিটি মানুষের দাবি, সংসদে দাঁড়িয়ে ক্ষমা চান রাহুল গান্ধী। শুধু যে সংসদ সদস্যদেরই দাবি তা নয়, এটা আসলে ভারতের মানুষের সমষ্টিগত স্বর এবং ভারতীয় জনগণের ইচ্ছাশক্তির সাংবিধানিক প্রতিফলন।’’
সম্প্রতি ইংল্যান্ডে গিয়ে ভারতের মোদী সরকারের দিকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ। তা নিয়েই ক্ষমা চাওয়ার দাবি তুলেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের একাংশের দাবি, সাংসদপদ খারিজ হোক রাহুলের। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বিরোধীরা যখন আদানিকাণ্ড নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটির দাবিতে সংসদ অচল করে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন। তা মোকাবিলায় রাহুল-প্রসঙ্গে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে শাসকদল। আর তাই মোদী সরকারকে আক্রমণ করা হলে তাকে দেশের উপর আক্রমণ হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে।