ছবি: সংগৃহীত।
গাড়ি দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা শ্রীপাদ নাইক। সোমবার সন্ধ্যায় কর্নাটকের আঙ্কোলায় ওই পথদুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর স্ত্রী বিজয়া নাইক এবং এক সচিবের। সঙ্কটজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শ্রীপাদ।
পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ উত্তর কন্নড় জেলায় আঙ্কোলায় দুর্ঘটনায় পড়ে শ্রীপাদর টয়োটা গাড়ি। দুর্ঘটনায় সময় গাড়িতে তাঁর স্ত্রী, ব্যক্তিগত সচিব দীপক-সহ পরিবারের চার সদস্য ছিলেন। সোমবার সকালে ইল্লেপুরে পুজো দেওয়ার জন্য রওনা দিয়েছিলেন তাঁরা। পুজো সেরে ফেরার পর সন্ধ্যায় গোকর্ণের দিকে যাত্রা শুরু করেন। ৭টা নাগাদ ৬৩ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে একটি রাস্তায় তাঁদের গাড়ি ঘোরানো হয়। মূলত, দ্রুত গোকর্ণ যেতে ওই শর্টকাট রাস্তা ধরেন গাড়ির চালক। তবে এবড়োখেবড়ো রাস্তায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় টয়োটা গাড়িটি। শ্রীপাদ এবং তাঁর স্ত্রী বিজয়া ছাড়াও আরও দু’জনের মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। সেখান থেকে সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের গোয়ার একটি স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বিজয়াকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ৬৮ বছরের শ্রীপাদের অবস্থা সঙ্কটজনক। এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শ্রীপাদের যথাযথ চিকিৎসায় ইতিমধ্যেই গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সবন্তের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ২০০ টাকায় করোনা টিকা, প্রস্তুতকারী সংস্থাকে বরাত কেন্দ্রের
দুর্ঘটনায় পুরোপুরি দুমড়েমুচড়ে গিয়েছে শ্রীপাদ নাইকের গাড়ি। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় পুরোপুরি দুমড়েমুচড়ে গিয়েছে মন্ত্রীর গাড়িটি। পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে যে মন্ত্রীর গাড়িটির সঙ্গে অন্য কোনও গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়নি। বরং টয়োটা গাড়ির ড্রাইভার নিয়ন্ত্রণ হারানোয় তা উল্টে গিয়েছে।’’
আরও পড়ুন: বালাকোটে কি ৩০০ পাক জঙ্গির মৃত্যু হয়েছিল? জেনে নিন আসল তথ্য
কেন্দ্রীয় আয়ূষ এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী তথা উত্তর গোয়ার সাংসদ শ্রীপাদর স্ত্রীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল-সহ একাধিক বিরোধী নেতা। টুইটারে কেজরীবাল লিখেছেন, ‘বিজয়া নাইকজির মৃত্যুর খবর শুনে গভীর ভাবে মর্মাহত। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রীপাদ নাইকের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। ঈশ্বর তাঁকে এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের শক্তি দিন’।