ফাইল চিত্র।
কোভিড-যন্ত্রণার কথা মাথায় রেখে লকডাউনের সময়েও কর্মীদের বেতন মিটিয়ে দিতে উৎসাহ জোগানো হয়েছিল মালিকদের। পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য থাকার অস্থায়ী জায়গা, খাবার এবং ওষুধপত্রের পর্যাপ্ত বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। জি-২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির শ্রম এবং কর্মসংস্থান মন্ত্রীদের সামনে এই দাবি ভারতের শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গঙ্গোয়ারের। ক্ষুব্ধ অধিকাংশ শ্রমিক সংগঠন যাকে ‘ডাহা মিথ্যে’ আখ্যা দিয়েছে।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে জি-২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির সঙ্গে ভিডিয়ো-বৈঠকে ওই দাবি জানিয়েছে শ্রম মন্ত্রক। গঙ্গোয়ারের বক্তব্যও সেখানেই। কিন্তু তা সামনে আসতেই শ্রমিক সংগঠনগুলির প্রশ্ন, কেন্দ্র বেতন মিটিয়ে দেওয়ার কথা বললেও, তা দিয়েছে ক’টি সংস্থা? দিয়ে থাকলে, হাজার-হাজার মাইল পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরতে পরিযায়ী শ্রমিকদের ওই ঢল নামত কি? শুধু মরিয়া হয়ে গ্রামে ফিরতে গিয়ে মারা যেতেন অত জন? বেতন পাওয়া তো দূর, লকডাউনের সময়ে এবং তার পরে সংগঠিত ও অসংগঠিত ক্ষেত্রের কত কর্মী যে কাজ হারিয়েছেন, তারই ইয়ত্তা নেই বলে মনে করিয়ে দিচ্ছেন তাঁরা।
ক্ষত এখনও দগদগে পরিযায়ী শ্রমিকদের যে ভাবে রাখা হয়েছিল, তা নিয়েও। ত্রাণ শিবিরে, চূড়ান্ত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে গাদাগাদি করে থাকতে বাধ্য হওয়া পরিযায়ী শ্রমিকেরা অনেকেই এ নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, ওই সব শিবিরে পারস্পরিক দূরত্বের বালাই ছিল না। খাবারও জুটত না ঠিক করে। মিলত না ওষুধ, এমনকি অনেক সময়ে পানীয় জলও। পরিস্থিতি অসহনীয় হওয়াতেই পায়ে হেঁটে বাড়ির পথ ধরতে বাধ্য হয়েছিলেন তাঁরা। ট্রেড ইউনিয়নগুলির অভিযোগ, আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভাবমূর্তি চকচকে রাখতে ডাহা মিথ্যে বলতেও পিছপা হচ্ছে না নরেন্দ্র মোদী সরকার।