—ফাইল চিত্র।
চিনা আগ্রাসন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে বিঁধেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী। প্রত্যুত্তরে রাহুলকে একহাত নিলেন কেন্দ্রী মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। তাঁর বক্তব্য, এই ধরনের আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে টুইটারে প্রশ্ন করতে নেই, এ কথা জানা উচিত রাহুল গাঁধীর। এর আগে, পুলওয়ামা হামলার পর বায়ুসেনার বালাকোট অভিযান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাহুল। সেই প্রসঙ্গ টেনেও তাঁকে খোঁচা দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
লাদাখে চিন ভারতীয় ভূখণ্ড দখল করেছে কি না, জানতে চেয়ে মঙ্গলবার সরাসরি প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের উদ্দেশে টুইট করেন রাহুল। এ দিন তাঁর নিশানায় ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁকে কটাক্ষ করে রাহুল লেখেন, ‘‘লাদাখে আমাদের ভূখণ্ড দখল করে নিয়েছে চিন। অথচ প্রধানমন্ত্রী একেবারে নিশ্চুপ। একেবারে উধাও হয়ে গিয়েছেন।’’
এতেই রাহুলকে একহাত নিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘‘রাহুল গাঁধীর জানা উচিত যে, চিনের মতো আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে টুইটারে প্রশ্ন তোলা উচিত নয়। উনিই সেই ব্যক্তি, যিনি এর আগে বালাকোট অভিযান এবং ২০১৬-য় উরি হামলার পর সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের প্রমাণ চেয়েছিলেন।’’
রাহুল গাঁধীর টুইট।
আরও পড়ুন: ‘করোনা এক্সপ্রেস বলিনি’, বললেন মমতা, পরিযায়ী নিয়ে অমিতকে পাল্টা তোপ
আরও পড়ুন: বাংলার যুবশক্তি: জনভিত্তি বাড়াতে নয়া নেটওয়ার্ক অভিষেকের নেতৃত্বে
সীমান্ত চুক্তি লঙ্ঘন করে ভারতের এলাকায় ঢুকে পড়া নিয়ে গত ৫ মে লাদাখ সীমান্তে চিনাবাহিনীর সঙ্গে হাতাহাতি বেধে যায় ভারতীয় জওয়ানদের। তাতে দু’পক্ষের বেশ কয়েক জন আহতও হন। সেই থেকে লাদাখ সীমান্তে দু’পক্ষের মধ্যে সঙ্ঘাতের আবহ চলছে। তা নিয়ে পরিষ্কার ভাবে কিছু জানানো হচ্ছে না কেন, এই প্রশ্ন তুলে গত কয়েক দিনে একাধিক বার মোদী সরকারকে বিদ্ধ করেছেন বিরোধীরা। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন রাহুল গাঁধী।