গিরিরাজ ২০১৫ সালে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী সম্পর্কে তিনি মন্তব্য করেছিলেন, ‘‘রাজীব গাঁধী যদি নাইজেরিয়ার মহিলাকে বিয়ে করতেন এবং তিনি (সনিয়া) যদি শ্বেতাঙ্গ না হতেন, তবে কংগ্রেস কি তাঁর নেতৃত্ব মেনে নিত।’’ ওই মন্তব্যের জন্য সংসদে ক্ষমাও চাইতে হয়েছিল তাঁকে।
গিরিরাজ সিংহ। ফাইল চিত্র।
অতীতে অনেক বারই বিতর্কিত মন্তব্য করে খবরের শিরোনাম হয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ। বুধবার বাংলার সঙ্গে কাশ্মীরের তুলনা টেনে নতুন বিতর্ক তৈরি করলেন তিনি। বিহারের বিজেপি নেতা গিরিরাজের মন্তব্য, ‘‘হিন্দুরা তাদের অস্তিত্বের জন্য লড়াই না করলে বাংলা হবে পরবর্তী কাশ্মীর।’’
সাম্প্রতিক ‘কাশ্মীর ফাইলস’ সিনেমার প্রসঙ্গ তুলে গিরিরাজের অভিযোগ, নব্বইয়ের দশকের গোড়ায় কাশ্মীর থেকে হিন্দু পণ্ডিতদের বিতাড়নের সময় উপত্যকার রাজনৈতিক নেতাদের যে ‘ভূমিকা’ ছিল এখন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে তারই ছায়া দেখা যাচ্ছে।
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘পুতনা রাক্ষসী’ বলেছিলেন গিরিরাজ। ‘সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বিরোধী আন্দোলনের সময় তিনি অভিযোগ করেছিলেন, দিল্লির শাহিনবাগে মুসলিম ফিদায়েঁ বাহিনীর আত্মঘাতী মানববোমা রয়েছে! গিরিরাজ ২০১৫ সালে সনিয়া গাঁধী সম্পর্কে তিনি মন্তব্য করেছিলেন, ‘‘রাজীব গাঁধী যদি নাইজেরিয়ার মহিলাকে বিয়ে করতেন এবং তিনি (সনিয়া) যদি শ্বেতাঙ্গ না হতেন, তবে কংগ্রেস কি তাঁর নেতৃত্ব মেনে নিত।’’ ওই মন্তব্যের জন্য সংসদে ক্ষমাও চাইতে হয়েছিল গিরিরাজকে।
তবে গিরিরাজ প্রথম নন, গত ১০ মার্চ উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোটপর্বের প্রথম দিনে কাশ্মীরের সঙ্গে বাংলা এবং কেরলের তুলনা টেনেছিলেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। বলেছিলেন, ‘‘বিজেপি-কে ভোট না দিলে উত্তরপ্রদেশের হাল হবে কাশ্মীর, কেরল কিংবা পশ্চিমবঙ্গের মতো।’’ তাঁর সেই মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক হয়েছিল বিস্তর। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোটের ফল বলছে, মেরুকরণের সেই রাজনীতি ‘লক্ষ্যে’ পৌঁছে দিয়েছে বিজেপি-কে।