প্রধানমন্ত্রীর গুণগান করতে গিয়েই কালো টাকার হিসাব দিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিন বৈষ্ণব। প্রতীকী ছবি।
নোটবন্দির পর কত কালো টাকা উদ্ধার হয়েছে? কেন্দ্রীয় শাসকদলকে চাপে ফেলতে প্রায়ই এই প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা। জবাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে সরাসরি কিছু না জানালেও এ বার এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এ ব্যাপারে মুখ খুললেন। মোদী জমানায় কত কালো টাকা উদ্ধার হয়েছে, তার স্পষ্ট হিসাব দিলেন তিনি।
কেন্দ্রীয় ওই মন্ত্রীর নাম অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি দেশের রেলমন্ত্রী। যোগাযোগ এবং বৈদ্যুতিন মাধ্যমের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকও তাঁরই হাতে। অশ্বিনী সোমবার এক সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী মোদীর গুণগান করে জানিয়েছেন, মোদীর সুশাসনের জন্যই সরকারি অর্থ দেশের মানুষের হাতে পৌঁছচ্ছে। একই সঙ্গে তিনি জানান, মোদীর জমানায় বিপুল পরিমাণ কালো টাকা এবং কয়েক হাজার কোটি টাকা মূল্যের বেনামি সম্পত্তি এখন সরকারি হিসাবভুক্ত।
কত কালো টাকা উদ্ধার হয়েছে, তা জানিয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, এ যাবৎ সরকার ১,২৫৪ লক্ষ কোটি টাকা মূল্যের কালো টাকা উদ্ধার করেছে। এ ছাড়া, ৪ হাজার ৬০০ কোটি টাকার বেনামি সম্পত্তিও সরকারের খাতায় নথিভুক্ত হয়েছে। এমনকি, ১.৭৫ লক্ষ ভুয়ো সংস্থাও সরকারি ভাবে রেজিস্ট্রেশন করিয়েছে বলে জানিয়েছেন অশ্বিনী।
এ ব্যাপারে মোদীর সাফল্যের প্রশংসা করতে গিয়ে রেলমন্ত্রী দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর তুলনাও টেনে আনেন। অশ্বিনী বলেন, ‘‘তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী বলেছিলেন, সরকারি প্রকল্পের ৮৫ শতাংশই মানুষের হাতে পৌঁছয় না। কিন্তু এখন ২৬ লক্ষ কোটি টাকা সরাসরি সাধারণ মানুষের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাচ্ছে।’’
কী করে এই সাফল্য, তার ব্যাখ্যা দিয়ে রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, মোদীর তৈরি ডিজিটাল স্ট্রাকচারই রয়েছে এর নেপথ্যে। সুশাসন নানা ভাবে কার্যকর করা যোতে পারে। ডিজিটাল মাধ্যম এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি উপযোগী। মোদী ডিজিটাল প্রযুক্তির সাহায্যে এবং প্রতিশ্রুতি দেওয়া প্রকল্পগুলি রূপায়ণের মাধ্যমে সেই সুশাসন এনেছেন।