—প্রতীকী চিত্র।
রোগী কিংবা তাঁর আত্মীয়রা যদি না চান তবে কোনও গুরুতর অসুস্থকে ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিট বা আইসিইউতে ভর্তি করাতে পারবেন না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। রোগীদের আইসিইউ-তে ভর্তি করানো নিয়ে সাম্প্রতিক গাইডলাইনে এমনই জানাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
বিভিন্ন সময়েই আইসিইউ-তে রোগী ভর্তি করানো নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং রোগী আত্মীয়দের মধ্যে দ্বিমত দেখা যায়। এই বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে নয়া নির্দেশিকা দিয়েছে কেন্দ্র। সব মিলিয়ে ২৪ জন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মেনে তৈরি হওয়া গাইডলাইন অনুযায়ী, কোনও গুরুতর অসুস্থ রোগীর আর কোনও চিকিৎসা সম্ভব নয় অথবা চিকিৎসার সুবিধা নেই এমন অবস্থার সৃষ্টি হলে ওই রোগীকে আইসিইউতে রাখা নিরর্থক। একই ভাবে উপযুক্ত চিকিৎসার পরও রোগী যদি ‘প্রত্যাশিত সাড়া’ না দেন সে ক্ষেত্রেও তাঁকে আইসিইউতে রাখার কোনও মানে হয় না বলে জানিয়েছে কেন্দ্রের এই গাইডলাইন। তবে সবচেয়ে যে বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, সেটা হল, কারও বাঁচার ইচ্ছে আছে কিন্তু তিনি আইসিইউ-তে ভর্তি হতে চান না, এমনটা হলেও ওই রোগীকে আইসিইউ-তে রাখতে পারবেন না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া অতিমারি কিংবা কোনও বিপর্যয়ের পরিস্থিতিতে আইসিইউতে রোগী ভর্তি করানোর ক্ষেত্রে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে বলছে কেন্দ্র।
আইসিইউ-তে ভর্তির জন্য সর্বাধিক গুরুত্ব কোন রোগীদের দেওয়া হবে সেটাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। গাইডলাইন অনুযাযী, অচৈতন্য অবস্থায় আছেন, শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা আছে এবং শ্বাসযন্ত্রের সহায়তা প্রয়োজন এমন রোগীকে আইসিইউতে ভর্তি করানো হতে পারে। আইসিইউতে ভর্তির মানদণ্ড হিসাবে রয়েছে কার্ডিওভাস্কুলার বা শ্বাসযন্ত্রের অস্থিরতার মতো কোনও বড় শারীরিক জটিলতার সম্মুখীন হয়েছেন বা বড় অস্ত্রোপচার করতে হবে এমন রোগী।
সংশ্লিষ্ট নির্দেশিকা অনুসারে, আইসিইউতে ভর্তি করানোর জন্য রোগীর রক্তচাপ, নাড়ির হার, শ্বাস-প্রশ্বাসের হার, শ্বাস-প্রশ্বাসের ধরণ, হৃদ্স্পন্দন, অক্সিজেন স্যাচুরেশন, প্রস্রাব হচ্ছে কি না— এই সব বিষয় পর্যবেক্ষণ করতে হবে। কিন্তু পরিস্থিতি যদি এমন হয় যে রোগী বা রোগীর আত্মীয়রা আইসিইউ-তে ভর্তি হতে চান না বা করাতে চান না, সে ক্ষেত্রে তাঁদের সিদ্ধান্তকেই মান্যতা দিতে হবে।