মধ্যবিত্তকে কি খুশি করতে পারল বাজেট। গ্রাফিক: তিয়াসা দাস
বাজেট মানে সাধারণ মানুষের মনে একরাশ কৌতূহল, প্রত্যাশা। দৈনন্দিন জিনিসপত্রের দাম বাড়বে না কমবে, কর ছাড়ের কী হবে? এমন অনেক প্রশ্ন ঘুরপাক খায় আমআদমির মনে। নির্মলা সীতারামনের দ্বিতীয় বাজেট ঘিরেও ছবিটা ছিল একইরকম। এমনিতেই ব্যাঙ্ক ধর্মঘট চলছে, শনিবার বলে কারও কারও ছুটি, কারও বা হাফ ছুটি।তার মধ্যেই মোবাইল আর টিভি স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে ছিল কৌতূহুলী চোখগুলো। বাজেট ঘোষণার শেষে লাভ-ক্ষতির ব্যালান্স শিটে কী পেল মধ্যবিত্ত? বাজেট কি তাদের খুশি করল?
অর্থমন্ত্রী এক দিকে নতুন কর কাঠামো ঘোষণা করেছেন।অন্যদিকে, কাঁটছাট করেছেন কর ছাড়ে। আবার কর ছাড় পেতে গেলে কর দিতে হবে পুরনো কাঠামোতেই। মুদ্রাস্ফীতির জেরে জিনিসপত্রের খরচ বাড়ছে তরতরিয়ে। এই অবস্থায় পাওনা-গণ্ডার এই হিসেব হিসেব কি মন ভরাতে পারল? চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট মোহন কেজরীবাল বেশ হতাশ গলায় বললেন,‘‘খুছ খাস নহি থা।’’
দেখুন ভিডিয়ো:
আরও পড়ুন:মধ্যবিত্তের হাতে রইল পেনসিল? দেখে নিন কী কী বললেন নির্মলা
ঢাকুরিয়া নিবাসী অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী তপনকুমার দাসের আশা ছিল, ন্যূনতম করের স্ল্যাব বাড়িয়ে ৬ লক্ষ করা হবে, স্বভাবতই এই বাজেট তাঁর মন ভরায়নি। বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স চত্বরে অফিস থেকে বেরোচ্ছিলেন সুশীল রায়জাদা। চটশিল্পের সঙ্গে যুক্ত এই মানুষটি বললেন,‘‘একদমই পিপ্লফ্রেন্ডলি নয় এই বাজেট।’’তবে, বাজেট নিয়ে বেশ খুশি সরকারি কর্মচারী অভিজিৎ রায়।কারণ, তিনি যে ট্যাক্স রিবেটের আশা করেছিলেন, তা পেয়েছেন। তবে এলআইসির বিলগ্নিকরণের সিদ্ধান্তকে তিনি মানতে পারছেন না কিছুতেই।
আরও পড়ুন:বাজেটে কিসের দাম বাড়ল? কমল কিসের?
ট্যাক্স নিয়েই কারবার করেন এনএল বেরিয়া। তিনি ঠিক যতটা ভেবেছিলেন ততটা আশা পূরণ হয়নি। তবে এই ট্যাক্স প্র্যাক্টিশনারের মতে, নতুন কর কাঠামোর আর পুরনো কর কাঠামো, এই দুইয়ের প্রভাব হরে দরে একই।