প্রতীকী ছবি।
রাজ্য ভেঙে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি হয়েছে। তাদের নিরাপত্তা ও চাহিদার কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় করের ভাগের ১% সরিয়ে রাখতে হবে। এ জন্য বাকি রাজ্যগুলির মধ্যে ২০২০-২১-এ কেন্দ্রীয় করের ৪১% ভাগ করে দেওয়ার সুপারিশ করল পঞ্চদশ অর্থ কমিশন।
চতুর্দশ অর্থ কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী পাঁচ বছর ধরে রাজ্যগুলির মধ্যে কেন্দ্রীয় করের ৪২% অর্থ ভাগ করে দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যগুলির ভাগ কমল কি না, প্রশ্ন উঠছে। কিন্তু এন কে সিংহের নেতৃত্বাধীন পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের দাবি, রাজ্যগুলির ভাগ কমেনি। এত দিন জম্মু-কাশ্মীরকে ধরে ২৯টি রাজ্যের জন্য কেন্দ্রীয় করের ৪২% বিলি হত। এখন জম্মু-কাশ্মীরের অংশ বাদ গেলে সেই ৪২%ই বিলি হচ্ছে। কেন্দ্রীয় করের ভাগ বাবদ দেয় মোট অর্থের মধ্যে ৯০ হাজার কোটি টাকা পুরসভা-পঞ্চায়েতগুলিতে অনুদান হিসেবে দেওয়ার সুপারিশ করেছে কমিশন।
কমিশনের অনুমান, জম্মু-কাশ্মীর এত দিন কেন্দ্রীয় করের ০.৮৫% ভাগ পেয়ে এসেছে। কিন্তু এখন রাজ্য ভেগে তৈরি হওয়া দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে তা বাড়িয়ে ১% করা হয়েছে। কমিশনের এই সুপারিশ শুধুমাত্র ২০২০-২১-এর জন্যই প্রযোজ্যে। চলতি বছরে জম্মু-কাশ্মীরের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৩০,৭৫৭ কোটি এবং লাদাখের জন্য ৫৯৫৮ কোটি টাকা।
তবে কেন্দ্রীয় করের ভাগ যে সূত্রে বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে বণ্টন হবে, তাতে রদবদল করার সুপারিশ করেছে অর্থ কমিশন। মোট জনসংখ্যাকে এখন থেকে আগের তুলনায় কম গুরুত্ব দেওয়া হবে। তার বদলে কোন রাজ্য জনসংখ্যা কমিয়ে আনায় ভাল কাজ করছে, তাতে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে। রাজ্যে করের প্রভাব কতখানি পড়ছে, তারও নতুন মাপকাঠি যোগ হয়েছে।।
আজ নির্মলা কমিশনের সুপারিশ পেশ করেছেন। এই সুপারিশ মেনে নিয়ে রাজ্যগুলির জন্য কেন্দ্রীয় করের ভাগ ১৯% বেড়ে ২০২০-২১-এ ৭.৮৪ লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছবে। ২০১৯-২০-তে যা ছিল ৬.৫৬ লক্ষ কোটি টাকা। রাজ্যগুলির অবশ্য অভিযোগ, এক দিকে কেন্দ্রীয় করের ভাগ বাড়ানো হচ্ছে। কিন্তু অন্য দিকে কেন্দ্রীয় প্রকল্পে কেন্দ্রের দেয় অর্থ কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এক বার চালুর পরে রাজ্যের পক্ষে কেন্দ্রীয় প্রকল্প বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে লাভ কিছু হচ্ছে না।