সম্পাদক অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিশদ বিশ্লেষণে অংশ নিলেন দুই অর্থনীতিবিদ দীপঙ্কর দাশগুপ্ত এবং শুভনীল চৌধুরী।
ভোটের বাজেট পেশ করলেন অরুণ জেটলি। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে জনমতে প্রভাব ফেলার শেষ বড় সুযোগ ছিল এই বাজেটই। মোদী-জেটলি জুটি যে কল্পতরু হয়ে ওঠার চেষ্টা করবেনই, তা মোটের উপর আঁচ করাই যাচ্ছিল। কিন্তু, ঠিক কোন পথে জনমোহিনী হয়ে ওঠার চেষ্টা করবে মোদী সরকার, দেখার ছিল সেটাই।
গ্রামীণ এবং প্রান্তিক ভারতের মন জয় করার চেষ্টা সবচেয়ে বেশি করে দেখা গেল এই বাজেটে। গ্রামীণ উন্নয়ন, গ্রামীণ পরিকাঠামো বৃদ্ধি, ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বৃদ্ধি, আরও বেশি কৃষিঋণের সংস্থান— জেটলির বাজেটে এমন প্রস্তাবই রাখা হয়েছে।
স্বাস্থ্য ক্ষেত্রেও খুব বড় পদক্ষেপ করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। দেশের প্রান্তে প্রান্তে হেল্থ কেয়ার অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার গড়ে প্রত্যেকের জন্য স্বাস্থ্য পরিষেবা সুনিশ্চিত করতে ১২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। দেশের ১০ কোটি দরিদ্র এবং প্রান্তিক পরিবারকে স্বাস্থ্য বিমার আওতায় আনার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। পরিবার পিছু বছরে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসার খরচ দেবে সরকার— অর্থমন্ত্রী এমন প্রস্তাবই রেখেছেন।
দেখুন আনন্দবাজার ডিজিটালের ফেসবুক লাইভ
আরও পড়ুন:
আছে ব্ল্যাকবোর্ড, হয়ে যাবে ডিজিটাল
সব মিলিয়ে কেমন হল বাজেট? যে সব প্রস্তাব রাখা হল বাজেটে, তার কতটা বাস্তবায়িত হবে? বাস্তবায়িত হলে উপকৃতই বা হবেন কত শতাংশ মানুষ? বুঝে নিতে চাইছেন প্রত্যেকেই। আনন্দবাজার ডিজিটালের ফেসবুক লাইভে তাই আতস কাচের নীচে ফেলা হল জেটলির বাজেট প্রস্তাবকে। সম্পাদক অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিশদ বিশ্লেষণে অংশ নিলেন দুই অর্থনীতিবিদ দীপঙ্কর দাশগুপ্ত এবং শুভনীল চৌধুরী। দেশবাসীর কোন অংশ কতটা উপকৃত হবেন, কর্পোরেট ক্ষেত্রের কী লাভ হতে পারে এই বাজেট থেকে, দরিদ্র এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কী সুবিধা হতে পারে, কৃষকের কতটা সুরাহা হতে পারে, মধ্যবিত্ত আদৌ কিছু পেলেন কি না, তা খুব স্পষ্ট ভাবে বুঝে নিতে চোখ রাখুন ফেসবুক লাইভের এই রেকর্ডেড ভিডিওয়।