প্রতীকী ছবি শাটারস্টক।
চাকরি নিয়ে কমবেশি এই প্রজন্মের অনেকেই অখুশি। মনের মতো এবং যোগ্যতা মতো চাকরি না পাওয়া মানসিকভাবে অসুস্থ করে তুলছে একটা প্রজন্মকে। এই অসুস্থতা থেকে বাঁচতে কারও ভরসা আপস, কারও বিদ্রোহ। তবে এই অসহায়তা অসহনীয় হয়ে ওঠায় কেউ কি নিষ্কৃতিমৃত্যু চাইতে পারেন? হ্যাঁ, অস্থির কর্মজীবন থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে নিষ্কৃতিমৃত্যুর আর্জিই জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের এক যুবক।
যুতসই চাকরির অভাব এবং বিয়ের সম্ভাবনা ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হতে দেখে এই জীবন শেষ করে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের বছর ৩৫-এর ওই যুবক। আবেদন জানিয়ে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস দফতরে চিঠিও পাঠিয়েছেন ওই যুবক। সেই চিঠিটি প্রায় ১৫-২০ দিন আগে লেখা বলে জানিয়েছে পুলিশ।
দত্তাওয়ারি থানার সিনিয়র অফিসার দেবীদাস ঘেওয়ারে বলেছেন, ‘‘যুবকের মনে হচ্ছে যে তিনি তাঁর বাবা মায়ের জন্য কিছু করতে পারছেন না। তাঁর বিয়ে সংক্রান্তও সমস্যা হচ্ছিল। আমরা তাঁর কাউন্সেলিং করিয়েছি।’’ওই ব্যক্তির মায়ের বয়স ৭০, বাবার ৮৩। পুলিশ জানিয়েছে, নিষ্কৃতিমৃত্যুর আবেদন করা এই যুবক শিক্ষিত এবং তাঁর পরিবারও বেশ ভালো।
তবে শুধু মাত্র বিবাহ নয়, জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে হতাশ হয়েই ওই ব্যক্তি নিষ্কৃতিমৃত্যুর আবেদন করেছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।