নেতাদের ভিড় অব্যাহত উনায়। গত কাল রাহুল গাঁধী, অরবিন্দ কেজরীবালের পর আজ নির্যাতিত দলিত পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে উনায় পৌঁছন তৃণমূল, জেডিইউ, সিপিআই-সিপিএমের সাংসদ ও নেতারা। দলিতদের পাশে দাঁড়ানোর প্রশ্নেও নেতাদের মধ্যে কে সাংসদ আর কে তা নন— এই নিয়ে তরজায় জড়িয়ে পড়ে সিপিএম এবং জেডিইউয়ের শীর্ষ নেতারা।
গুজরাতে দলিত নির্যাতনের ঘটনাকে হাতিয়ার করে মোদী সরকারের উপর রাজনৈতিক চাপ বাড়ানোর কৌশল নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশে বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই সংসদে সরব হয়েছে তাঁর দল। এর পাশাপাশি তৃণমূলের তিন সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, প্রতিমা মণ্ডল ও ডেরেক ও’ব্রায়েন আজ প্রথমে রাজকোটের হাসপাতালে অত্যাচারিত দলিত যুবকদের দেখতে যান। এর পর উনায় তাঁদের পরিবারের সঙ্গেও দেখা করতে যান তাঁরা। ওই যুবকদের অভিজ্ঞতার কথা শুনে ডেরেক বলেন, ‘‘দিল্লিতে বসে ঘটনা জানা এক। আর এখানে এসে সরাসরি কথা শোনার অভিজ্ঞতা আলাদা। এই অত্যাচারের কাহিনি নিয়ে ফের সংসদে সরব হবে দল।’’
তৃণমূলের মতোই আজ দফায় দফায় উনায় এসে দলিত পরিবারগুলি সঙ্গে দেখা করেন সিপিএম, সিপিআই এবং জেডিইউয়ের প্রতিনিধিরা। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছিল, সিপিআইয়ের ডি রাজা, জেডিইউয়ের শরদ যাদব ও সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি— তিন দলের তিন সাংসদ যৌথ ভাবে উনা যাবেন। কিন্তু পরে সিপিএমের পলিটব্যুরো সিদ্ধান্ত নেয়, যেহেতু দলে আদিবাসী ও দলিতদের বিষয় দেখার দায়িত্বে রয়েছেন বৃন্দা কারাট, তাই সীতারামের পরিবর্তে তিনিই যাবেন উনাতে। কিন্তু বৃন্দা সাংসদ না হওয়ায় শরদ যাদব সিপিএম নেতৃত্বকে জানান, যাওয়ার কথা ছিল সাংসদদের প্রতিনিধি দলের। তাই বৃন্দা গেলে তিনি একলাই যাবেন। মুখরক্ষা করতে দলের দলিত সাংসদ পি কে বিজুকে প্রতিনিধি করে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় সিপিএম। কিন্তু তিনি সংসদীয় দলের নেতা নন এই যুক্তিতে ফের বেঁকে বসেন শরদ। পরে সিপিআইয়ের ডি রাজার সঙ্গেই উনা চলে যান জেডিইউ নেতা শরদ যাদব। অন্য দিকে বৃন্দা কারাট, পি কে বিজু ও গুজরাতের রাজ্য সম্পাদক অরুণ মেটারা আলাদা ভাবে উনায় পৌঁছন। বৃন্দা সেখানে প্রশ্ন তোলেন, প্রধানমন্ত্রী গুজরাতের বাসিন্দা হওয়া সত্ত্বেও কেন উনার ঘটনা নিয়ে নীরব?