Prayagraj Murder Case

গুলিবিদ্ধ হয়েও উমেশকে বাঁচাতে ছোটেন সন্দীপ, প্রাণে মারতে দুষ্কৃতীরা বোমা ছোড়ে, তাতেই মৃত্যু

মূলত সন্দীপের আয়ের উপরই নিষাদ পরিবারের সংসার চলত। ২০২১ সালে আজমগড়েরই তরুণী রীমার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সন্দীপের। কর্মসূত্রে প্রয়াগরাজে স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন তিনি।  

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৬:১৫
Share:

উমেশ বাঁচাতে গিয়েও শেষরক্ষা হল না। দুষ্কৃতীদের ছোড়া বোমায় মৃত্যু দেহরক্ষী সন্দীপের। ছবি: সংগৃহীত।

দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতে আহত হয়েও নিজের কর্তব্য থেকে সরে আসেননি সন্দীপ নিষাদ। গুলিবিদ্ধ হয়েও উমেশ পালকে বাঁচাতে দুষ্কৃতীদের সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। উমেশকে বাঁচানোর চেষ্টা করতেই এক দুষ্কৃতী সন্দীপকে লক্ষ্য করে বোমা মারে। তিনি রাস্তায় লুটিয়ে পড়ার পরই উমেশকে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা।

Advertisement

শুক্রবার বিকেলে বাড়ির সামনে দুষ্কৃতীদের হামলায় মৃত্যু হয়েছে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের উমেশ পালের। ঘটনাচক্রে, উমেশ ছিলেন বহুজন সমাজ পার্টির বিধায়ক রাজু পালের খুনের একমাত্র সাক্ষী। এই হত্যাকাণ্ডের মূল সাক্ষী হওয়ায় উমেশের নিরাপত্তার জন্য দুই দেহরক্ষী দিয়েছিল প্রশাসন। তাঁদের মধ্যে এক জন সন্দীপ।

শুক্রবার উমেশের উপর দুষ্কৃতীরা আচমকা হামলা চালাতেই তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন সন্দীপ। তাঁকে প্রথমে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। এর পরই উমেশকে তাড়া করে দুষ্কৃতীরা। গুলি লাগার পরেও উঠে দাঁড়িয়ে দুষ্কৃতীদের ধাওয়া করেন সন্দীপ। এর পরই তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা মারা হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে শুক্রবারই মৃত্যু হয় সন্দীপের।

Advertisement

আজমগড়ের বাসিন্দা সন্দীপ। তাঁরা তিন ভাই। সন্দীপ ছিলেন সন্তপাল নিষাদের মেজো ছেলে। সন্দীপের দাদা প্রদীপ অধ্যাপকের পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ছোট ভাই পড়াশোনা করছেন। মূলত সন্দীপের আয়ের উপরই নিষাদ পরিবারের সংসার চলত। ২০২১ সালে আজমগড়েরই তরুণী রীমার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সন্দীপের। কর্মসূত্রে প্রয়াগরাজে স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement