বফর্সের প্রায় তিন দশক পরে হাউইৎজার কামান আমদানি করেছে ভারত। এ বার সেই কামান থেকে পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ শুরু করল সেনা।
সুইডেন থেকে বফর্স কামান আমদানির সময়ে ঘুষের অভিযোগ নিয়ে প্রবল হইচই হয়। জড়িয়ে যায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধীর নাম। তার পরে ৩০ বছর কোনও হাউইৎজার আমদানি করেনি ভারত। কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ার পরিবর্তিত নিরাপত্তা পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে এই ধরনের কামান সেনার বিশেষ প্রয়োজন বলে মনে করেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞেরা।
সম্প্রতি আমেরিকা থেকে দু’টি এম-৭৭২ এ-২ কামান হাতে পেয়েছে সেনা। সেনা কর্তারা জানিয়েছেন, সেগুলি থেকে পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ শুরু হয়েছে। এই উৎক্ষেপণ থেকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে সেনা। সেই তথ্য দিয়ে তৈরি করা হয় কামান সংক্রান্ত বিশেষ নথি (ফায়ারিং টেবল)। কামান সীমান্তে মোতায়েন করার সময়ে এই নথি সেনার কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
১৫৫ মিলিমিটার ও ৩৯ ক্যালিবারের এই কামান প্রধানত চিন সীমান্তে মোতায়েন করার কথা ভাবা হচ্ছে বলে সেনা সূত্রে খবর। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আরও তিনটি কামান হাতে আসবে ভারতের। ২০১৯ সালের মার্চ থেকে প্রতি মাসে পাঁচটি করে কামান সরবরাহ করবে আমেরিকা। তখনই ওই কামান সীমান্তে মোতায়েন করার পরিকল্পনা পরিকল্পনা রয়েছে সেনা কর্তাদের।
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞেরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, যত কেলেঙ্কারিই হোক না কেন বফর্স কামানও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বিশেষত কার্গিল যুদ্ধের সময়ে। এ বার এম-৭৭২ এ-২ কামানও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হয়ে উঠবে বলে আশা তাঁদের।