ULFA

Paresh Baruah: হিমন্তের প্রশংসা, পরেশের নিশানায় প্রাক্তন সঙ্গীরাই

শান্তি আলোচনা অর্থহীন। প্রথম বার ক্যামেরার সামনে লাইভ সাক্ষাৎকার দিয়ে এমনটাই বললেন আলফা স্বাধীনের প্রধান পরেশ বরুয়া। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২২ ০৯:৪১
Share:

আলফা স্বাধীনের প্রধান পরেশ বরুয়া। ফাইল চিত্র।

আলফা স্বাধীনের সঙ্গে শান্তি আলোচনা সফল করতে আন্তরিক চেষ্টা করছেন হিমন্ত। কিন্তু প্রাক্তন সতীর্থ অনুপ চেতিয়া ও অরবিন্দ রাজখোয়াদের চালানো শান্তি আলোচনা অর্থহীন। প্রথম বার ক্যামেরার সামনে লাইভ সাক্ষাৎকার দিয়ে এমনটাই বললেন আলফা স্বাধীনের প্রধান পরেশ বরুয়া।

Advertisement

পরেশ বলেন, “আলফা আগেও কখনও আলোচনা বিরোধী ছিল না। প্রফুল্ল মহন্ত, তরুণ গগৈয়ের সময়ও আলোচনার চেষ্টা হয়েছিল। কেন্দ্রের আন্তরিকতার অভাব ও আমলাদের কলকাঠিতেই আলোচনা এগোয়নি। কিন্তু বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা আমার পরিচিত, ছোট ভাইয়ের মতো। সে আমায় সম্মান দিয়ে, আন্তরিক ভাবে আলোচনার চেষ্টা করছে। তাই আমি আশাবাদী। হিমন্তের আমলেই আলোচনা সফল হবে ও সমস্যার সমাধান হবে। অবশ্য এ ক্ষেত্রে মূল দায়িত্ব কেন্দ্রের।”

হিমন্ত জানিয়েছেন, আলফা স্বাধীনের সার্বভৌমত্বের দাবি ও শর্তই আলোচনায় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। পরেশের পাল্টা যুক্তি, যদি এনএসসিএন আইএমের সঙ্গে সার্বভৌমত্ব, নাগাদের স্বাধীন ইতিহাসের ভিত্তিতে আলোচনা হতে পারে তবে আলফার ক্ষেত্রে সমস্যা কোথায়? তিনি বলেন, “আলোচনা আমাদের মুখ্য উদ্দেশ্য। কিন্তু সেখানে সার্বভৌমত্বের কথা থাকতেই হবে। আলোচনায় সময় লাগবে। হিমন্ত বাস্তববাদী ও আন্তরিক। তাই ধৈর্য ধরতে হবে।”

Advertisement

আলফার প্রাক্তন সভাপতি অরবিন্দ রাজখোয়া ও সাধারণ সম্পাদক তথা পরেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু অনুপ চেতিয়া ইতিমধ্যেই শান্তি আলোচনা চালাচ্ছেন কেন্দ্রের সঙ্গে। প্রায় দুই বছরের ব্যবধানে বিহুর পরে আলোচনা ফের শুরু হবে। কেন্দ্রের তরফে মধ্যস্থতা করবেন এ কে মিশ্র।
কিন্তু পরেশের দাবি, “রাজখোয়া-চেতিয়াদের আলোচনা অর্থহীন। আত্মসম্মান ও নীতিহীন ওই নেতারা জেলে যাওয়ার ভয়ে কেন্দ্রের কথায় ওঠাবসা করছেন। আত্মসমর্পণ করা সদস্যেরা ৯ মাস টাকা পাননি। ১১ বছরে কী আলোচনা হয়েছে তার ঠিক নেই। ওদের কাছে কারও কোনও আশাই নেই। আমাদের দাবি বা আলোচনার সঙ্গে রাজখোয়াদের আলোচনার কোনও সম্পর্ক থাকবে না।”

আলফার সংগ্রামের পথে হাজার হাজার প্রাণ গিয়েছে। অসম রক্তাক্ত করার দায় কি আলফা নেবে? পরেশ বলেন, “যেখানেই রাজনৈতিক ভাবে সশস্ত্র সংগ্রাম হয় সেখানে দুই পক্ষের মৃত্যু হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু বেশিরভাগ মৃত্যুর জন্য রাষ্ট্রপক্ষ দায়ী। তারা গুপ্তহত্যা চালিয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের লোকেরা ছদ্মবেশে আমাদের দলে থেকে দুষ্কার্য করেছে।” পরেশের দাবি, আলফার হাতে একশ জন নিরীহ মানুষও নিহত হননি। বেশিরভাগ মৃত্যুর জন্য রাষ্ট্রযন্ত্র দায়ী!

গত এক বছরে আলফায় নতুন সদস্যের যোগদান ক্রমেই বাড়ছে। পরেশের দাবি, আলফার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ও রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রতি ক্ষুব্ধ ও হতাশ হয়েই যুবকেরা স্বেচ্ছায় দলে দলে আলফায় যোগ দিচ্ছেন। পরেশ আরও বলেন, “পুলিশের সিংহভাগই ভূমিপুত্র। তাই তাঁদের জাতীয়তাবোধ আছে। আমাদের প্রতি আবেগও আছে। তাঁরা আমাদের শত্রু নন। পুলিশকে বিপথে পরিচালিত করার চেষ্টা চলছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement