ফাইল চিত্র।
অর্থনীতির বহরের বিচারের ব্রিটেনকে ছাপিয়ে গেল ভারত। বিশ্বের সব চেয়ে বড় অর্থনীতির তালিকায় ভারত পঞ্চম স্থানে উঠে এল। আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডার বিভিন্ন দেশের গড় জাতীয় উৎপাদনের পরিসংখ্যান-সহ যে তালিকা প্রকাশ করেছে, সেই তালিকায় ব্রিটেনের ঠাঁই ষষ্ঠ স্থানে। ওই তালিকা তৈরির সময় গোটা হিসাবনিকাশ করা হয়েছে আমেরিকান ডলারে।
গত কয়েক মাস ধরেই রাজনৈতিক টানাপড়েন চলছে ব্রিটেনে। প্রধানমন্ত্রী পদে বরিস জনসনের উত্তরসূরি কে হবেন, লিজ ট্রাস না কি ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। তার আগে বিশ্বের সব চেয়ে বড় অর্থনীতির তালিকা প্রকাশ করল আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডার। অনেকের বক্তব্য, মসনদে যিনিই বসুন, তাঁকেই এই কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে। শুধু তাই নয়, উত্তীর্ণও হতে হবে।
অন্য দিকে, গত অর্থবর্ষের শেষ ত্রৈমাসিকে ব়ড় লাফ দিয়ে ব্রিটেনকে ছাপিয়ে গিয়েছে ভারত। শুধু তাই নয়, পূর্বাভাস কোভিড-ধাক্কায় কাটিয়ে চলতি অর্থবর্ষেও ভারতের অর্থনীতির বহর সাত শতাংশ হারে বাড়তে পারে।
বিশ্বব্যাঙ্কের সাম্প্রতিক রিপোর্টেও বলা হয়েছে, চিনকে টপকে বিশ্বের দ্রুততম আর্থিক বৃদ্ধির শিরোপা ভারত পেতে চলেছে। প্রকাশিত পরিসংখ্যান থেকে জানা যাচ্ছে, এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে আর্থিক বৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ১৩.৫ শতাংশ। অর্থাৎ, গত বছর এপ্রিল-জুনের তুলনায় এ বছরের এপ্রিল-জুনে জিডিপি-র বহর ১৩.৫ শতাংশ বেড়েছে। রিপোর্টে স্পষ্ট, কোভিডের ধাক্কা কাটিয়ে ভারতে ফের গতি পেয়েছে আর্থিক বৃদ্ধির হার।
২০২০ সালের মার্চ মাসে দেশে কোভিড হানার জেরে ধ্বস্ত আর্থিক পরিস্থিতির হাল ফেরাতে নরেন্দ্র মোদী সরকার যে পদক্ষেপগুলি করেছিল, তার সুফল মেলার বার্তাও রয়েছে ওই রিপোর্টে। রয়েছে, লগ্নির ক্ষেত্রেও হাল ফেরার বার্তা। হোটেল, পরিবহণ ব্যবসা, যোগাযোগ এবং পরিষেবার মতো যে সব ক্ষেত্র অতিমারির জেরে সব চেয়ে বেশি ধাক্কা খেয়েছিল এবং লকডাউন উঠে যাওয়ার পরেও ধুঁকছিল, সেখানেও পরিস্থিতির ইতিবাচক বদল ঘটেছে।