ফাইল চিত্র।
অনলাইনে অসুবিধা, পড়াশোনায় খামতি থেকে শুরু করে শিক্ষকদের সময়ে বেতন পেতে সমস্যা— করোনা-সঙ্কটে পড়ুয়া এবং শিক্ষকদের অসুবিধার কথা জানতে ইউজিসি প্রত্যেক কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দিষ্ট বিভাগ বা ‘সেল’ তৈরি করতে বলেছিল। বন্দোবস্ত করতে বলেছিল আলাদা ই-মেল ও ফোন নম্বরের। যে
সমস্ত কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় এখনও পর্যন্ত ‘সেল’ তৈরি করেনি, তাদের ৩০ মে-র মধ্যে অবশ্যই তা করে ফেলার অনুরোধ জানাল ইউজিসি।
মঙ্গলবার সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং কলেজের অধ্যক্ষকে চিঠি দিয়েছেন ইউজিসি-র চেয়ারম্যান ডি পি সিংহ। সেখানেই ওই সেলের কথা লিখেছেন তিনি। একই সঙ্গে জানিয়েছেন, সারা দেশের পড়ুয়া এবং শিক্ষকদের অসুবিধার কথা জানতে ইউজিসি নিজে যে ‘সেল’ তৈরি করেছে, ইতিমধ্যেই বিস্তর অভিযোগ জমা পড়েছে সেখানে। পড়াশোনা, পরীক্ষা, ভর্তির টাকার অঙ্ক, শিক্ষকদের সময়ে বেতন না-পাওয়া ইত্যাদি বিষয়ে অসন্তোষ যেমন রয়েছে, তেমনই অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সময়ে পাঠ্যক্রম শেষ না-হওয়া, ভর্তির পদ্ধতি, অনলাইন ক্লাসে প্রযুক্তি বিভ্রাট নিয়েও।
সিংহের বক্তব্য, এই সমস্ত সমস্যার সমাধানই সংশ্লিষ্ট কলেজ অথবা বিশ্ববিদ্যালয় অথবা রাজ্য সরকারের হাতে। তাঁর আর্জি, সময় বেঁধে সমাধান বার করার
চেষ্টা করুক সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজ্য সরকারের তৈরি টাস্ক ফোর্স। সেই লক্ষ্যে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা-ও জানানো হোক স্পষ্ট ভাবে।