ছবি: ফাইল চিত্র।
দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক দিবস পালন করার নির্দেশ দিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ( ইউজিসি)। এ বছর দ্বিতীয় বারের জন্য সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে বিশেষ উৎসব করতে চলেছে মোদী সরকার। তার আগেই এমন নির্দেশ জারি হল।
বৃহস্পতিবার সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের চিঠি দেয় ইউজিসি। তাতে বলা হয়, ‘‘২৯ সেপ্টেম্বর সমস্ত বিশ্ববিদ্যালগুলির এনসিসি ক্যাডেটসদের বিশেষ কুচকাওয়াজের আয়োজন করতে হবে। তাঁদের উদ্দেশে সীমান্ত সুরক্ষা নিয়ে বক্তৃতা করবেন এনসিসি কমান্ডার। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রাক্তন সেনাকর্মীদের ক্যাম্পাসে ডাকতে পারেন। যাতে সেনার আত্মবলিদান নিয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন তাঁরা।’’
বিশেষ প্রদর্শনীর কথাও উল্লেখ রয়েছে চিঠিতে। বলা হয়, ‘‘আগামী ২০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে ইন্ডিয়া গেটের সামনে বিশেষ মাল্টিমিডিয়া প্রদর্শনীর আয়োজন করা হচ্ছে। যার অনুকরণে সমস্ত রাজ্য, কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল, গুরুত্বপূর্ণ শহর এবং ক্যান্টনমেন্টেও বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা যেতে পারে। তবে এ বিষয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকেই উদ্যোগী হতে হবে। ছাত্র ছাত্রী এবং প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের উৎসাহ দিতে হবে যাতে সকলে অংশগ্রহণ করেন।’’
এ ছাড়াও ছাত্র ছাত্রীদের সেনার প্রতি সমর্থন জানিয়ে চিঠি এবং শুভেচ্ছা বার্তা লিখতে বলা হয়েছে। পোস্ট অফিস মারফত বা ইমেলের মাধ্যমে সেগুলি সেনার জনসংযোগ বিভাগ বা প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোকে পাঠানো যাবে। সেগুলি বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারের কাজে ব্যবহৃত হবে।
২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর জম্মু-কাশ্মীরের উরিতে সেনা শিবিরে হামলা চালায় পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার জবাবে ২৯ সেপ্টেম্বর নিয়্ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে পাক অধ্যুষিত কাশ্মীরে ঢোকে ভারতীয় সেনার বিশেষ বাহিনী। সেখানে ওৎ পেতে ছিল জঙ্গিরা। ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল। তবে তা হতে দেননি ভারতীয় জওয়ানরা। পাক কাশ্মীরের তাদের একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে দেন তাঁরা। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় তাদের লঞ্চপ্যাড।
তার পর থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর দিনটিতে বিশেষভাবে পালন করে আসছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। এ বছরও তার অন্যথা হবে না। বুধবারই জানিয়েছেন রেল মন্ত্রী পীযূষ গয়াল।