উদ্ধব ঠাকরে।
মহারাষ্ট্র রাজনীতির মহারঙ্গের যবনিকা পতন যেন হতেই চাইছে না। আরব সাগরের তীরে উদ্ধব সরকারের পতন হয়েছে প্রায় একমাস হতে চলল। কিন্তু উদ্ধব ঠাকরে ও একনাথ শিন্ডে, শিবসেনার দুই গোষ্ঠীর দাবি, পাল্টা দাবিতে এখনও সরগরম সে রাজ্যের রাজনীতি। এবার শিন্ডে শিবিরের শিবসেনা নেতা দীপক কেসরকার একটি সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, উদ্ধব নাকি বিজেপির সঙ্গে জোট করতে চেয়েছিলেন!
ঘটনাক্রম উল্লেখ করে কেসরকরের দাবি, ২১ জুন শিন্ডের নেতৃত্বে বিদ্রোহী বিধায়করা যখন গুয়াহাটির উদ্দেশে যাচ্ছিলেন, তখন নাকি কেসরকারের এক বিশেষ দূত উদ্ধবের কাছে জোটের প্রস্তাব নিয়ে গিয়েছিলেন। সেই দূত, উদ্ধবকে পুরনো সব তিক্ততা ভুলে বিজেপির সঙ্গে হাত মেলানোর অনুরোধ জানান। উদ্ধব নাকি প্রাথমিক ভাবে সেই প্রস্তাবে সম্মতও হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর শর্ত ছিল শিন্ডেকে সরাতে হবে।
শিন্ডে শিবিরের বর্ষীয়ান শিবসৈনিক কেসরকারের কথায়, এই প্রস্তাব বিজেপি এবং আমাদের কোনও বিধায়কের পক্ষে মানা সম্ভব ছিল না। বাকিটা ইতিহাস। শিন্ডে প্রশ্নে ‘অনমনীয়তা’ই যে উদ্ধবের পদচ্যুত হওয়ার কারণ সে দিকেই ইঙ্গিত করেছেন কেসরকার। একইসঙ্গে বিজেপিকে শিবসেনার ‘স্বাভাবিক মিত্র’ বলে উল্লেখ করে শিন্ডের জন্য উদ্ধবের আশীর্বাদও প্রার্থনা করেছেন তিনি। প্রসঙ্গত, শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়করা প্রথমে গুজরাতের সুরাট, সেখান থেকে অসমের গুয়াহাটি এবং শেষে গোয়ায় ঘাঁটি গেড়েছিলেন। দল ভাঙিয়ে বিজেপির সঙ্গে সরকার গঠন করলেও, এখনও পর্যন্ত মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ ঘটাতে পারেনি মহারাষ্ট্রের শিন্ডে-বিজেপি সরকার। শিন্ডে দ্রুত মন্ত্রিসভা গঠন করার কথা বললেও, এই নিয়ে শিন্ডে শিবিরকে বিঁধতে ছাড়ছে না উদ্ধব শিবির।