উদ্ধব ঠাকরে। —ফাইল চিত্র।
নির্বাচন কমিশন কোনও দলের প্রতীক ঠিক করে দিতে পারে, কিন্তু কোনও দলের নাম বদলের ক্ষমতা তাদের নেই। একনাথ শিন্দে গোষ্ঠীকে ‘শিবসেনা’ ব্যবহারের যে অনুমতি কমিশন দিয়েছে, তা নিয়ে আজ এ ভাবেই সরব হলেন উদ্ধব ঠাকরে। এ বিষয়ে আদালতের দ্বারস্থও হয়েছেন তাঁরা। সুপ্রিম কোর্টে আগামী ৩১ জুলাই এই মামলার শুনানি।
উদ্ধব ঠাকরে নেতৃত্বাধীন শিবসেনায় বিদ্রোহ ঘটিয়ে শিন্দে গোষ্ঠী হাত মিলিয়েছিল বিজেপির সঙ্গে। বিজেপির সমর্থনে বর্তমানে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে একনাথ শিন্দে। গত ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছিল, ‘শিবসেনা’ নাম এবং প্রতীক ‘তির-ধনুক’ ব্যবহার করবে শিন্দে গোষ্ঠী। উদ্ধবের নেতৃত্বাধীন অংশের নাম হবে শিবসেনা(উদ্ধব বালাসাহেব ঠাকরে), নির্বাচনী প্রতীক ‘মশাল’। আজ মহারাষ্ট্রের অমরাবতী সফরে গিয়ে উদ্ধব বলেন, ‘‘কোনও দলের নাম পাল্টানোর ক্ষমতা নেই নির্বাচন কমিশনের। তারা কেবল প্রতীক বণ্টন করতে পারে।’’ এখানেই থেমে থাকেননি উদ্ধব। তাঁর কথায়, ‘‘শিবসেনা নাম দিয়েছিলেন আমার ঠাকুরদা। নির্বাচন কমিশন কী ভাবে সেই নাম পাল্টায় কী ভাবে? এই নাম আমি কাউকে চুরি করতে দেব না।’’
কমিশন রায় দিয়েছিল, ‘শিবসেনা’ নাম ও নির্বাচনী প্রতীক শিন্দে গোষ্ঠী ব্যবহার করবে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন উদ্ধব। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ আজ জানিয়েছে, চলতি মাসের ৩১ তারিখে সেই মামলার শুনানি। জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আবেদন জানিয়েছেন উদ্ধব।
আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি বিরোধী দলগুলি এক জোট হওয়ার চেষ্টা শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই পটনায় বৈঠকও হয়েছে। এ প্রসঙ্গে উদ্ধব বলেন, ‘‘একে আমি বিরোধী দলগুলির এক জোট হওয়া বলছি না। আমরা সকলে দেশপ্রেমী এবং গণতন্ত্রের স্বার্থে সকলে এক মঞ্চে এসেছি।’’