Bharat Jodo Yatra

রাহুলের ভারত জোড়ো যাত্রা বন্ধে ‘ভাইরাস’ ছেড়েছে কেন্দ্র, শিবসেনার তীব্র আক্রমণ

শিবসেনার দাবি, রাহুল গান্ধীর পদযাত্রায় চোখে পড়ার মতো ভিড় হচ্ছে। আইন বা ষড়যন্ত্র— সরকার একে কোনও ভাবেই আটকাতে পারছে না। তাই মনে হচ্ছে কেন্দ্র কোভিড ১৯ ভাইরাস ছেড়েছে!

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২২ ১৬:৩৬
Share:

ভারত জোড়ো যাত্রায় পাশাপাশি হাঁটছেন রাহুল গান্ধী এবং আদিত্য ঠাকরে। ফাইল ছবি।

কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী ও রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতকে পাঠানো কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর চিঠি ঘিরে রাজনীতি তুঙ্গে। কংগ্রেস তো আক্রমণ করেছিলই, এ বার জোটসঙ্গীর পাশে দাঁড়িয়ে একদা জোটসঙ্গীকে তীব্র কটাক্ষে বিঁধল শিবসেনার উদ্ধবপন্থী শিবির। মুখপাত্র ‘সামনা’য় ব্যাঙ্গাত্মক ভাবে লেখা হল, মনে হচ্ছে, কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রা থামাতেই ‘করোনা ভাইরাস’ ছেড়েছে কেন্দ্র!

Advertisement

কোভিডবিধি মেনে পদযাত্রা করুন, না পারলে যাত্রা স্থগিত করে দিন। এমনই আবেদন জানিয়ে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী এবং রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবীয়। তা ঘিরে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক তরজা চরমে উঠেছে। কংগ্রেসের প্রশ্ন, অতিমারি থেকে বাঁচার নির্দেশিকা যদি কেন্দ্রীয় সরকার জারি করে তা হলে তা হয় গোটা দেশের জন্য। এ বার কি রাজনৈতিক দলের জন্যেও নির্দেশিকা জারি করা শুরু করল মোদী সরকার! এ বার সেই বিতর্কে ঢুকে পড়ল কংগ্রেসের জোটসঙ্গী শিবসেনার উদ্ধব শিবির। দলের মুখপাত্র ‘সামনা’র সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, ‘‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবীয় পরামর্শ দিয়েছেন, ভারত জোড়ো যাত্রায় যেন কোভিড বিধি পালিত হয়, না হলে পদযাত্রা বন্ধ করে দেওয়া হোক। রাহুল গান্ধী গত ১০০ দিন ধরে হেঁটে চলেছেন। তাঁর পদযাত্রায় সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণও চোখে পড়ার মতো। আইন বা ষড়যন্ত্র— সরকার একে কোনও ভাবেই আটকাতে পারছে না। তাই মনে হচ্ছে কেন্দ্র কোভিড ১৯ ভাইরাস ছেড়েছে!’’

তার পরেই সরাসরি প্রধানমন্ত্রী মোদীর দিকে নিশানা শানিয়েছে উদ্ধব শিবির। লেখা হয়েছে, ‘‘ভারত জোড়ো যাত্রায় করোনা আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে, এ কথা ঠিক। কিন্তু ৩ বছর আগে যখন করোনা বেপরোয়া গতিতে বাড়ছিল, তখন গুজরাতে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ডেকে এনেছিল কে?’’

Advertisement

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের চিঠি নিয়ে রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়িয়েছে যথেষ্ট। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা অশোক গহলৌতের দাবি, ওই চিঠি লেখার একমাত্র কারণ, ভারত জোড়ো যাত্রায় যা ভিড় হচ্ছে এবং যে ভাবে সাধারণ মানুষ তাতে অংশ নিচ্ছেন, তা দেখে ভীত মোদী সরকার তড়িঘড়ি চিঠি লিখতে বসেছে। মনসুখ চিঠিতে জাতীয় স্বার্থের কথা বলে রাহুলকে যাত্রা বন্ধ করার আবেদন করেছিলেন। গহলৌত আক্রমণ করেছেন তাঁকেও। তাঁর মতে, জাতীয় স্বার্থের দোহাই দিয়ে আসলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধিত করার ইচ্ছে হয়েছে নরেন্দ্র মোদীর। গহলৌত বলেন, ‘‘দু’দিন আগেই প্রধানমন্ত্রী মোদী ত্রিপুরায় জনসভা করলেন, সেখানে কোনও কোভিডবিধি মানা হয়েছে কি? করোনার দ্বিতীয় স্ফীতির সময়ও প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গে একের পর এক জনসভা করে গিয়েছেন। যদি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্য রাজনৈতিক ফয়দা তোলা না হয়, তা হলে তাঁর প্রথম চিঠিটি তো লেখা উচিত প্রধানমন্ত্রীকে!’’

সব মিলিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে ফের এক বার প্রাসঙ্গিকতা ফিরে পেল করোনা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement