ছবি: সংগৃহীত।
যৌন হেনস্থার অভিযোগ শোনামাত্রই সংস্থার এক উচ্চপদস্থ কর্তাকে ইস্তফায় বাধ্য করাল উবের।
মাসখানেকও হয়নি গুগ্ল ছেড়ে অন্যতম সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে গত ২০ জানুয়ারি উবেরে যোগ দিয়েছিলেন অমিত সিংহল। গুগ্ল-এ থাকাকালীনই তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তোলেন ওই সংস্থার এক মহিলা কর্মী। এর পরেই গুগ্ল-এর চাকরি ছেড়ে উবেরে যোগ দেন অমিত। উবেরের তরফে জানানো হয়েছে, নিয়োগ প্রক্রিয়া চলাকালীন ১৫ বছর গুগ্ল-এ কাটানো অমিত সম্পর্কে এ ধরনের কোনও অভিযোগের কথা তারা জানত না।
আরও পড়ুন
ভারতেই বাজার হারাল দেশের স্মার্টফোন সংস্থা
অমিত উবেরে যোগ দেওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। গুগ্লে থাকাকালীন অমিতের বিরুদ্ধে ওঠা ওই যৌন হেনস্থার অভিযোগের কথা জানতেন এক উবের কর্মী। তিনিই সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্তাদের বিষয়টি জানান। এর পরে অমিতকে ডেকে ইস্তফা দিতে বলা হয়। যদিও তিনি সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছেন। গত সোমবার একটি ই-মেলে উবের কর্তৃপক্ষকে তিনি লিখেছেন, “যৌন হেনস্থার মতো ঘটনা কোনও ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমি এ রকম কোনও আচরণ করিনি। আমার কুড়ি বছরের কেরিয়ারে কখনও এ ধরনের অভিযোগও ওঠেনি। আর গুগ্ল ছাড়ার সিদ্ধান্তটা আমার একান্ত ব্যক্তিগত।”
চলতি মাসের গোড়াতেই উবেরের এক প্রাক্তন মহিলা কর্মী সুজান ফাউলার কর্মস্থানে যৌন হেনস্থা-সহ একাধিক বৈষম্যের অভিযোগ তুলেছিলেন। এর পর সুজানের তোলা অভিযোগের তদন্ত শুরু করে উবের। সংস্থার সিইও ট্র্যাভিস কালানিক সে সময় জানিয়েছিলেন, সংস্থার অন্দরের পরিবেশে রীতিমতো ব্যথিত তিনি। কর্মচারীদের সঙ্গে বৈঠকে কেঁদেও ফেলেন তিনি। পাশাপাশি সংস্থাকে এ ধরনের ‘অভিযোগমুক্ত’ করার কথাও বলেছিলেন। অমিতের ইস্তফা সেই প্রক্রিয়ারই অঙ্গ কি না তা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে।