প্রতীকী ছবি।
ল্যাবরেটরির রিপোর্টে টাইপ করতে গিয়ে সামান্য ভুল। আর সেই ভুলের খেসারত দিতে ১৮ মাস জেলের ভিতর কাটাতে হল এক নাইজিরীয়কে। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের মুম্বইয়ে। আদালত দ্রুত ওই বিদেশি নাগরিককে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। সরকারের কাছে আদালত জানতে চেয়েছে, অকারণে ১৮ মাস জেলবন্দি করে রাখার কী ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে ওই ব্যক্তিকে?
২০২০-এর অক্টোবরে মহারাষ্ট্র পুলিশের অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড (এটিএস) গ্রেফতার করে এক নাইজিরীয় নাগরিককে। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয় বেশ কিছু ট্যাবলেট। রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় তা। রিপোর্টে দেখা যায়, যে ট্যাবলেটগুলি উদ্ধার হয়েছে তা নিষিদ্ধ মাদকের আওতায় পড়ে। তার পর ‘নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস (এনডিপিএস) অ্যাক্ট’-এর আওতায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়।
নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ২০২১-এ বম্বে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন ওই নাইজেরীয়র আইনজীবী। বুধবার সেই মামলার শুনানি ছিল। সেখানে সরকারি পক্ষের আইনজীবী জানান, ফরেন্সিক ল্যাবের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর রিপোর্টে ভুল করেছিলেন। এবং রিপোর্ট দেওয়ার এক বছর পর তিনি নিজের ভুল বুঝতে পেরেছেন। তার পর এটিএসকে চিঠি লিখে তিনি এ কথা জানিয়েছেন। ভুল স্বীকারপত্রে অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর জানিয়েছেন, ওই নাইজিরীয় নাগরিকের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ওষুধকে ভুলক্রমে মাদকের তালিকায় ফেলা হয়েছিল, আদতে তা ওই আওতায় পড়ে না। তাই ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে এনডিপিএস আইনে মামলা হয় না।
এর পরই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখার কথা বলে আদালত। বিচারপতি ডাংরে বলেন, ‘‘রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর ওই নাইজিরীয় নাগরিককে কী ভাবে ক্ষতিপূরণ করবে তা জানাক। যদি তারা এ বিষয়ে বিলম্ব করে তাহলে আদালতই সেই কাজ করে দিতে প্রস্তুত।’’ এই বিষয়ে স্বরাষ্ট্র সচিবের হলফনামাও তলব করেছে বম্বে হাই কোর্ট।