চলছে গণধোলাই। ছবি: সংগৃহীত
ঠা ঠা রোদের মধ্যে উল্টো করে ঝোলানো দুই যুবক। পায়ে দড়ি বাঁধা। তাঁদের ঘিরে ভেঙে পড়েছে গোটা গ্রামের লোক। কারও হাতে লাঠি, কারও আবার হাতই যথেষ্ট। চলছে বেধড়ক মার। অপরাধ? বিয়েবাড়ি থেকে নাকি পাঁচটি চেয়ার চুরি করেছিল তাঁরা। আর সেই দোষেই গাছের ডালে উল্টো করে ঝুলিয়ে চলল প্রচণ্ড মারধর।
ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের কৈমুর জেলার নুয়ান ব্লকের সোনবর্ষা গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই দুই যুবকের নাম রাজকুমার বিন্দ ও বীরবল বিন্দ। ওই গ্রামেরই বাসিন্দা মাহাঙ্গু বিন্দের মেয়ের বিয়ে ছিল সম্প্রতি। সেই উপলক্ষে বড় তাঁবু ভাড়া করেছিলেন মাহাঙ্গু। অতিথিদের বসার জন্য সঙ্গে এনেছিলেন বেশ কিছু চেয়ারও। কিন্তু বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে বরযাত্রী ফিরে যাওয়ার পর দেখা যায়, যত সংখ্যক চেয়ার ভাড়া করা হয়েছিল তার থেকে কম চেয়ার রয়েছে বিয়েবাড়িতে। গুনে দেখা যায় মোট পাঁচটি চেয়ার কম পড়েছে।
আরও পড়ুন: ন’মাসের শিশুকে চলন্ত অটো থেকে ছুড়ে ফেলে গণধর্ষণ মাকে!
মাহাঙ্গুর সমস্ত সন্দেহ গিয়ে পড়ে বছর কুড়ির ওই দুই যুবকের উপর। এর পরেই রাজকুমার ও বীরবলকে দড়ি দিয়ে বেঁধে গাছের ডালে উল্টো করে ঝুলিয়ে দেন গ্রামবাসীরা। টানা তিন ঘণ্টা ধরে চলতে বেধড়ক মার। এর পরে ওই দুই যুবককে গাছে ঝুলিয়ে রেখেই চলে যান গ্রামবাসীরা।
মুহূর্তের মধ্যে এই ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়ে আশেপাশের গ্রামে। তবে পুলিশ জানায়, প্রথমে অভিযোগ দায়ের করতে অস্বীকার করে ওই দুই যুবক। পরে তাঁদের নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়ায় মাহাঙ্গুর-সহ আরও চার জন গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে রাজকুমার ও বীরবল। পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।